সাবিনাদের ফাইনালে যাওয়ার মিশন

সাফের পাঁচ আসরে যারা গ্রুপ পর্বই পেরুতে পারেনি, তারা প্রথমবারের মতো গোল করে এবং গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সেমিফাইনালে। শ্রীলংকাকে ৬-০ গোলে ধসিয়ে দিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে। তাই এবার ফাইনালে চোখ তাদের। দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া একটায় শুরু হবে ফাইনালে ওঠার ম্যাচটি।
ভুটানকে খাটো করে দেখছেন না কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও, ‘ভুটানকে খাটো করে দেখছি না। সাবিনারা পুরোপুরিভাবে ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুত।’ ভুটানকে সমীহ করছেন অধিনায়ক সাবিনাও, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো ব্যবধানে জিতেছে নেপাল। শেষ সাফেও কিন্তু ওদেরকে গোল দিতে আমাদের বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। আমার মনে হয়, ভুটান আগের তুলনায় এখন অনেক ভালো দল। আমরা চেষ্টা করব নিজেদের সেরাটা দেওয়ার।’
ডান পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে অনুশীলন করেছেন ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন। ব্যথায় কিছুটা কাতর ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্নাও। তবে এসব বাধা হতে পারবে না ভুটানকে হারাতে, ‘স্বপ্নার কাফ মাশলে একটু ব্যথা আছে। আজ ওয়ার্মআপের পরে ওকে বিশ্রাম দিয়েছি, যাতে করে আগামীকাল খেলতে পারে। বাকি সবাই ভালো আছে।’
বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে খুবই দুর্বল ভুটান। তিনবারের দেখায় একটি গোলও সাবিনাদের জালে প্রবেশ করাতে পারেনি তারা। ২০১০ সাফে ৯-০, ২০১২ সালে ১-০ এবং ২০১৯ সালে ২-০ গোলে ভুটানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
সেসব এখন অতীত। কারণ দ্বিতীয়বারের মতো সাফে খেলতে আসা ভুটানের চোডেনের কথা, ‘আমরা জয়লাভ করতে পারলে অনুপ্রাণিত হব। আশা করি কাল একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে।’ বাংলাদেশ নিয়ে তার পর্যবেক্ষণ, ‘বাংলাদেশ বেশ শক্তিশালী একটি দল। তারা বেশ দ্রুতগতিতে খেলে। পাসিংয়েও দক্ষ। তাদের দলগত রসায়ন বেশ ভালো। আমাদের সঙ্গে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে আশা করছি এটি একপেশে হবে না। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের দারুণ কৌশল রয়েছে। তবে আমরা নিজেদের দলের প্রতি মনোযোগী। কিছুটা ইনজুরি তো দলের মধ্যে আছেই। কয়েকজন খেলোয়াড় হয়তো শতভাগ ফিট নন।’
নিজেদের নিয়ে চোডেন বলেন, ‘বিগত তিনমাস ধরে আমরা অনুশীলনে আছি। নেপালে আসার পরও আমাদের অনুশীলন অব্যাহত ছিল। আমাদের শহরের তুলনায় এখানকার আবহাওয়া বেশ আলাদা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের মাধ্যমে আমরা ইতিহাস গড়েছি। সাফে এটি প্রথম জয়। আমরা এতে দারুণ খুশি। এর মাধ্যমে আমাদের এনার্জি আরও বেড়েছে।’
এজেড