মোহামেডানের সভাপতি পদে নেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা

মোহামেডান ক্লাবের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আজ (রোববার) ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পরিচালক পদে ২০টি ও সভাপতি পদে মাত্র একটি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। সভাপতি পদে একমাত্র সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল (অব) মোহাম্মদ আবদুল মুবীনই মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
সভাপতি পদে মনোনয়ন নিয়েছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম ও কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি। তারা দুই জন অবশ্য মনোনয়নপত্র জমা দেননি। আবদুল মুবীন একমাত্র জমা দেওয়ায় বলা যায় তিনিই হতে যাচ্ছেন মোহামেডান ক্লাবের পরবর্তী সভাপতি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবিএম রিয়াজুল কবির কাউছার বলেন, ‘আজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিচালক পদে ২০ টি ও সভাপতি পদে একটি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। যাচাই বাছাই করে নির্বাচন কমিশন ৩ মার্চ প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে। সভাপতি পদে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার না হলে সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা যাবে।’
পরিচালক পদে ৫১ টি মনোনয়ন পত্র নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত জমা পড়েছে ২০টি। মনোনয়ন পত্র নিয়ে জমা দেননি অনেক পরিচিত মুখ। এদের মধ্যে অন্যতম তরফদার রুহুল আমিন, নাজিফ শরাফত, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু, সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শঙ্কর হাজরা, লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, সারওয়ার হোসেন, আবদুর রব সহ আরও অনেকে।
পরিচালক পদ ১৬টি। ৩ মার্চ প্রত্যাহারের শেষ দিন। ৩ মার্চ চারটি মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার না করলে পরিচালক পদে ভোট হবে। সেক্ষেত্রে ৬ মার্চ হোটেল লা মেরিডিয়ানে ৩৩৭ জন ভোটার ১৬ পরিচালককে নির্বাচিত করবেন পরবর্তী দুই বছরের জন্য।
কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি সভাপতির পাশাপাশি পরিচালক পদেও মনোনয়ন পত্র নিয়েছিলেন। সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা না দিলেও পরিচালক পদে দিয়েছেন।
পরিচালক পদে মনোনয়ন জমা দেওয়া ২০ জন হলেন-একরামুল হক, মাইনুদ্দিন হাসান রশীদ, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, জামাল রানা, মোস্তাকুর রহমান, মাসুদুজ্জামান, আবু হাসান চৌধুরি প্রিন্স, মোস্তফা কামাল, খুজিস্তা নূর ই নাহরীন, এজিএম সাব্বির,শফিউল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান, সাজেদ এএ আদেল, কবীর আহমেদ ভূঁইয়া, মাহবুব উল আনাম, কামরুন নাহার ডানা, হানিফ ভূঁইয়া, আবদুস সালাম মুর্শেদি, মঞ্জুরুর আলম মঞ্জু, ও প্রকৌশলী গোলাম মোঃ আলমগীর।
এজেড/এমএইচ