জাতীয় লিগের আত্মবিশ্বাস নিয়েই অভিষেকে হ্যাটট্রিক তৃষ্ণার

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীদের ক্রিকেট খেলাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। আর পঞ্চগড়ের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে এসে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলার পথটা যেন তার চেয়েও কঠিন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণার জন্যও বিষয়টা সহজ ছিল না।
এর আগেহ ওয়ানডে অভিষেক হয়ে গিয়েছিল তার। অপেক্ষায় ছিলেন টি-টোয়েন্টির। দীর্ঘ অপেক্ষার সেই প্রহর শেষ হয়েছে আজ। অভিষেকটা তিনি রাঙিয়েছেন দারুণভাবেই। নিজের টি-টোয়েন্টি অভিষেক ম্যাচেই বল হাতে হ্যাটট্রিক করে বসেছেন তিনি। এরপরই তিনি শোনালেন নিজের জাতীয় দলের গল্পটা, জানালেন পঞ্চগড়ে ক্রিকেটটা মেয়েদের জন্য কত কঠিন, রাস্তাটা কত বন্ধুর!
এশিয়া কাপের তৃতীয় ম্যাচে আজ মালেয়েশিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। নিগার সুলতানা জ্যোতি ও মুর্শিদা খাতুনের অর্ধশতকে মাঝারি পুঁজি পায় টাইগ্রেসরা। এরপর বোলিংয়ে নেমে অভিষিক্ত তৃষ্ণার তোপে দ্রুত গুটিয়ে যায় মালেয়েশিয়া। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে এই বাঁহাতি পেসার জানালেন তার ক্যারিয়ারে কোন কোন মানুষের অবদান আছে, সে কথা।
তৃষ্ণা বলেন, ‘প্রথমত হ্যাঁ, পঞ্চগড়ে ক্রিকেটটা মেয়েদের জন্য অনেক কঠিন। ক্রিকেট বলতে ছেলেদের ছাড়া মেয়েদের কিছুই নেই। আমাদের মাঠ আছে অথচ অনুশীলন করা যাচ্ছে না। সমর্থনের কথা যদি বলেন, তাহলে বাবা-মায়ের অনেক সমর্থন পেয়েছি। ক্রিকেটে আসার পেছনে আমার স্কুলের শিক্ষক আমিনুদ্দিন স্যারের অনেক সাহায্য ছিল।’
তৃষ্ণা আরো যোগ করেন, ‘অভিষেক ম্যাচ ছিল, চেষ্টা করেছি নিজের ভালোটা দেওয়ার। হ্যাটট্রিক হয়েছে, এতে অনেক খুশি অভিষেক ম্যাচেই স্মরণীয় কিছু করতে পেরেছি।’
সম্প্রতি এনসিএলে (ঘরোয়া ক্রিকেটে) ভালো করায় আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ছিল তৃষ্ণার। এমনকি এই পেসারের বিশ্বাস ছিল অভিষেকেই ভালো কিছু করার। এ নিয়ে তৃষ্ণা বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি ছিল। এনসিএলে কিছু ভালো খেলেছি। এই উইকেটটা আমার জন্য সৌভাগ্যের। কারণ যখনই আমি খেলি, ভালো কিছু চেষ্টা করি অথবা হয়। অভিষেক ম্যাচেই বিশ্বাস ছিল ভালো কিছু হবে বা করতে হবে।’
এসএইচ/এনইউ