মেসির দুর্ভাগ্যের রাতে নেইমারের গোলে জিতল পিএসজি
গোলপোস্টের সঙ্গে লিওনেল মেসির সখ্যতাটা বেশ পুরোনো। সে সখ্যতাটা দেখা গেল রোববার রাতের ‘ল্য ক্লাসিকে’ও। দারুণ একটা ফ্রি কিক গিয়ে প্রতিহত হলো ক্রসবারের নিচের অংশে। তবে তাতে পিএসজির জয়টা থেমে থাকেনি। নেইমারের গোলে মার্শেইয়ের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
নিজেদের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে পিএসজি গত রাতে শুরু থেকেই ছড়ি ঘোরাচ্ছিল মার্শেইয়ের ওপর। চোট থেকে সেরে ওঠা মেসি এদিন শুরু থেকেই ছিলেন স্বরূপে। সঙ্গে এমবাপে ও নেইমারদের উপস্থিতিতে পিএসজিও ছিল দারুণ সপ্রতিভ।
১৭ মিনিটে গোল পেয়ে যেতে পারত স্বাগতিকরা। নেইমারের বাড়ানো বলে কিলিয়ান এমবাপের দারুণ এক শট ঠেকিয়ে দেন সফরকারী গোলরক্ষক পাউ লোপেজ, তাই সে যাত্রাতে আর গোলের দেখা পায়নি পিএসজি।
ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা গোল পায়নি ৩৪ মিনিটেও, এবার অবশ্য কৃতিত্বটা প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের নয়, মেসির দুর্ভাগ্যের। বক্সের একটু বাইরে থেকে নেওয়া আর্জেন্টাইন মহাতারকার ফ্রি কিকটা ঠেকাতে পারেননি লোপেজ, তা গিয়ে প্রতিহত হয় ক্রসবারের নিচের অংশে। পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে এই নিয়ে ১৪তম বারের মতো ক্রসবারে শট লাগে তার। এই সময় ফরাসি লিগের আর কারোই এর চেয়ে বেশি শট প্রতিহত হয়নি ক্রসবারে।
তবে পিএসজি তাদের কাঙ্ক্ষিত গোলটা পেয়েছে ম্যাচের ৪৫ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে ভিতিনিয়ার বাড়ানো বলটা এমবাপে হয়ে যায় নেইমারের কাছে, ব্রাজিল তারকা প্রথম ছোঁয়াতেই বলটা জড়ান জালে, ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। নেইমার পেয়ে যান তার নবম লিগ গোলের দেখা। লিগ আঁর সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষস্থানটাও বাগিয়ে নেন তাতে।
পিছিয়ে পড়ে মার্শেই ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছে বটে, কিন্তু পিএসজি রক্ষণ সেসব চেষ্টা সামলেছে দারুণ দক্ষতায়। ৭২ মিনিটে নেইমারকে বাজে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন স্যামুয়েল গিগো। তাতে মার্শেইয়ের কাজটা কঠিন হয়ে যায় আরও। শেষমেশ সেই এক গোল শোধ করা হয়নি তাদের, পিএসজি ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
এই জয়ের ফলে পিএসজি ১১ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে লিগ আঁ’র শীর্ষে। দুইয়ে থাকা সমান ম্যাচ খেলে অর্জন করেছে ২৬ পয়েন্ট। মার্শেই সমান ম্যাচ থেকে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে লিগের চতুর্থ স্থানে।
এনইউ