বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মানসিক ডাক্তার দেখানো উচিত
গত রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশের শেষ চারের ভালো সম্ভাবনাই ছিল। কিন্তু সেই ম্যাচে বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে নবম দল হয়ে।
এই ম্যাচটা সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামও দেখেছেন। এরপর তার মনে হয়েছে, তিনি অধিনায়ক বা কোচ হলে বাংলাদেশ দলের সবাইকে ধরে ধরে মানসিক ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যেতেন।
আরও পড়ুন>> সাকিবের ব্যাট মাটি ছোঁয়নি, তিনি আউট ছিলেন না
মূলত ওপেনার নাজমুল হোসেনের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচই এই ভাবনা উঁকি দিয়েছে তার মগজে। পাকিস্তানের বিপক্ষে নাজমুল হোসেন ফিফটি পেয়েছিলেন ৪৬ বল খেলে। কিন্তু যখন দলের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল তাকে, তখনই তিনি আউট হয়েছেন অদ্ভুত এক শট খেলে।
‘বাংলাদেশের নিজেদেরই দোষ দেওয়া প্রয়োজন, এটা উচিতও। আমি যদি বাংলাদেশ দলের কোচ অথবা অধিনায়ক হতাম, তাহলে আমি এই বিষয়টা নিশ্চিত করতাম, যেন সব খেলোয়াড় মানসিক ডাক্তারের কাছে যায়। কারণ এক পর্যায়ে শান্ত ৫৪ রানে ব্যাট করছিল, দুই উইকেট খুইয়ে তাদের সংগ্রহ ছিল ৭৩ রান, আমার মনে হচ্ছিল তারা অন্তত ১৬০ করবেই। কিন্তু এপর শান্ত উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ইফতিখার একটা বলে অদ্ভুতভাবে শট খেলতে গেল, আর বোল্ড হলো। যদি আপনি সিঙ্গেল নিতে থাকতেন, তাহলে অনায়াসে ১৫৫ হয়েই যেত।’ – এ স্পোর্টসের দ্য প্যাভিলিয়ন অনুষ্ঠানে এমন কথাই বলেন আকরাম।
আরও পড়ুন>> সাকিবের আউট নিয়ে কথা বললেন শাদাব
আকরামের মনে হয়েছে, বাস্তবসম্মত ব্যাটিং করেনি বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের সেরা বোলারকে বড় শট খেলে বশে আনতে চেয়েছিল দলটি। আকরামের অভিমত, বড় শটে মনোযোগ না দিয়ে শুধু সিঙ্গেল-ডাবলসে ভরসা করতে পারলেই দলের অবস্থানটা আরও ভালো হতো।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আপনি যখন দেখবেন একজন বোলার বল করতে আসছেন, আর তার অধিনায়ক তাকে উইকেট তুলে নেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন, তখন আপনি বড় শট খেলবেন না। আপনি স্ট্রাইক রোটেট করবেন সে ওভারে, কিন্তু বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল তাকে মারবেই, শাহিনকে মারবেই।’
এনইউ