মোহামেডানে নবজাগরণের আশা নবনির্বাচিতদের

বাংলাদেশ ফুটবল অঙ্গনে এক সময় মোহামেডানের নাম আসতো শুরুর দিকেই। কিন্তু কালের বিবর্তনে সে গৌরব এখন ক্ষয়ে গেছে অনেকগুনে। বহুবছর মতিঝিলের ক্লাবটি শিরোপাবঞ্চিত বহুবছর। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর সঙ্গেও তাল মেলান হচ্ছে না দলটির। এমনই সময়ে অনুষ্ঠিত হলো ক্লাবটির নির্বাচন। যাতে নির্বাচিতরা গাইলেন নতুন দিনের গান, ক্লাবকে দেখালেন নতুন আশা।
আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স অনেকটা পৈত্রিক সূত্রেই জড়িত মোহামেডানের সঙ্গে। ক্লাবের প্রতি টানটাও উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন বাবার কাছ থেকে। সেই প্রিন্স এবার প্রথমবারের মতো হলেন ক্লাবটির পরিচালক। এরপর তার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, ‘আমার বাবা মোহামেডানে ছিলেন। আমিও আমৃত্যু মোহামেডানে। পরিচালক হওয়ায় দায়িত্ব বাড়ল।’
মাহবুব আনাম মোহামেডানের পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন গতবারও। এবারও নির্বাচিত হয়ে পর্ষদে এসেছেন তিনি। তবে অন্য সময়ের চেয়ে এবার দায়িত্ব বেশি দেখছেন তিনি। জানালেন, সব ডিসিপ্লিনেই আবার ক্লাবকে তুলে আনতে চান প্রথম সারিতে, করতে চান সবার চেয়ে সেরা। বললেন, ‘মোহামেডান ক্লাবে আমরা ভোটে নির্বাচিত হলাম। এবার আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। ফুটবল, ক্রিকেট সহ সব ডিসিপ্লিনে আমরা সেরা হতে চাই।’
মোহামেডান ক্লাবের সাবেক পরিচালক খন্দকার জামিল এবার প্রার্থী হননি। সমঝোতা কমিটি হয়নি শেষ পর্যন্ত। নির্বাচন হলেও এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জামিল, ‘আমাদের ক্লাব সুন্দর গণতান্ত্রিক চর্চার উদাহরণ দেখাল। আশা করি মোহামেডানের সুন্দর দিন শীঘ্রই আসবে।’
এজেড/এনইউ