মাঠের ভেতর দিয়েই ছুটে চলছে ট্রেন, ভিডিও

চারিদিকে বাজছে ফুটবল বিশ্বকাপের দামামা। এই ফুটবল জ্বরের মধ্যেই সম্প্রতি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। সচরাচর স্টেডিয়ামের আশপাশের সড়কে যানবাহন বা নৌপথ কিংবা বিমান ওঠানামা দেখতে পাই।
কিন্তু সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। একদিকে ফুটবল খেলা চলছে, অন্যদিকে স্লোভাকিয়ার একটি স্টেডিয়ামের ভেতর দিয়ে ধোঁয়া উড়িয়ে ছুটে চলেছে স্ট্রিম ট্রেন।

গ্যালারিতে উপস্থিত গুটি কয়েক দর্শককেও বিষয়টিকে হাততালি দিয়ে স্বাগত জানাতে দেখা গেছে। আর মাঠের খেলোয়াড়দের যেন এ নিয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই!
স্বপ্নের পৃথিবী সুন্দর এবং অনন্য। স্বপ্নে আমরা সেই জিনিসগুলো কল্পনা করতে পারি, যা বাস্তব জগতে খুব কমই দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই এটাকে স্বপ্নের মতো বলেই মন্তব্য করেছেন। একই সময়ে, বেশিরভাগ ব্যবহারকারী এই ঘটনাকে চোখের সামনে দেখে ভিরমি খাচ্ছেন। মাঠে চলছে ফুটবল ম্যাচ, ম্যাচ চলাকালীন মাঠের ভেতর দিয়ে ছুটে চলেছে গোটা ট্রেন।
— Narendra Singh (@NarendraNeer007) November 18, 2022
ভিডিওতে একটি ট্রেনকে ফুটবল মাঠের মধ্য দিয়ে যেতে দেখা যায়। একই সময় খেলোয়াড়দের মাঠে একটি ফুটবল ম্যাচ খেলতেও দেখা যাচ্ছে। স্টেডিয়ামে বসে সেই খেলা উপভোগ করছেন দর্শকরাও। এদিকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা ট্রেন দেখে দর্শকরা উল্লাসে ফেটে পড়ছেন।

এই ভাইরাল ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করেছেন নরেন্দ্র সিং নামে এক ব্যবহারকারী। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ফুটবল স্টেডিয়ামের মাঝখান দিয়ে একটি ট্রেন যাচ্ছে। ভিডিওটি শেয়ার করার পাশাপাশি ক্যাপশনে বলা হয়েছে, এই দৃশ্যটি স্লোভাকিয়ার ন্যারোগেজ রেলওয়ের। এটি বিশ্বের একমাত্র রেলপথ যা একটি ফুটবল স্টেডিয়ামের মাঝখান দিয়ে গেছে। এমন বিরল দৃশ্য দেখতে বিপুল সংখ্যক দর্শক এই স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচ দেখতে আসেন।
তবে অনেকে এটিকে আবার বেশ বিপজ্জনকও বলছেন। কারণ শিশু-কিশোররা যখন মাঠে খেলবে তখন এই ট্রেনের কারণে বড় কোনো দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ন্যারোগেজ রেল স্টেশন স্থাপন করা হয়েছিল। তখন সেখানে ফুটবল মাঠ ছিল না। মূলত দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় গাছ আনা নেওয়ার কাজে ঐতিহাসিক এ রেল স্টেশন ব্যবহার হতো।
পরে অবশ্য ১৯৮২ সালের দিকে এ রেল স্টেশন বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এখন স্টেডিয়ামে ভেতর দিয়ে চলা ট্রেন এখনো পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। অনেক পর্যটক এ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন স্টেডিয়ামে যায়।
এসএম