বিরক্তিকর ফুটবল খেলে ক্রোয়েশিয়া, জবাবে যা বললেন কোচ

আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সংবাদ সম্মেলন। কোনো দল আগে খেলোয়াড় পাঠায়। মিনিট দশেক পর আসেন কোচ। ক্রোয়েশিয়ার সম্মেলনে কোচ জ্লাটকো ডালিচ ও ফুটবলার ইভান পেরিসিচ একসঙ্গেই ছিলেন আধ ঘণ্টার বেশি সময়।
ফিফার মিডিয়া অফিসারের ‘লাস্ট কোয়েশ্চেন’ এর হুঁশিয়ারি এলো এক সময়। শেষ প্রশ্নটাই যেন তীর্যক হয়ে বিঁধল ডালিচের কানে। ক্রোয়েশিয়া সেমিফাইনালে উঠলেও বোরিং ফুটবল খেলছে এর কারণ কি? উত্তরে ডালিচ ব্যাখ্যা না দিয়ে এক লাইনে বলেছেন, ‘আমরা গোল করতে চাই এবং জিততে চাই।’
এটা বলেই চেয়ার ছেড়ে উঠে যান। পেরিসিচও তাকে অনুসরণ করেন। প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশটা একটু সমালোচনার সুরে হলেও সাংবাদিক প্রশ্নের শুরুতে প্রশংসা করেই বলছিলেন মাত্র কয়েক লক্ষ দেশের দেশ টানা দুই বার ফাইনালের পথে দারুণ অর্জন।
শেষ প্রশ্নটা ডালিচের কাছে বেগতিক হলেও অন্য প্রশ্নগুলো কোচ-খেলোয়াড় মিলে ভালোই সামলেছেন। আর্জেন্টিনা শক্ত প্রতিপক্ষ এবং মেসির মতো খেলোয়াড় রয়েছেন। যিনি একাই ম্যাচ ঘুরাতে পারেন। এই সকল বিষয়ে ডালিচের মন্তব্য, ‘আমরা প্রতিপক্ষ সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছি। আমি দল নিয়ে আশাবাদী এবং খেলোয়াড়দের উপর বিশ্বাস রাখি। আমার বিশ্বাসের প্রতিফলন তারা ঘটিয়েছে।’
২০১৮ বিশ্বকাপে লিওনেল মেসি, আনহেল ডি মারিয়াকে দারুণভাবে আটকেছিল ক্রোয়েশিয়া। মারিয়া ইনজুরিতে ফলে সেমিতে খেলা নিশ্চিত নয়। রাশিয়ার কৌশলই কি অবলম্বন করবে কিনা ক্রোয়েশিয়া, এই প্রসঙ্গে কোচের জবাব, ‘সেটা ছিল গ্রুপ পর্ব আর এটা সেমিফাইনাল। প্রেক্ষাপট, খেলোয়াড় সব কিছুতেই ছিল ভিন্নতা। মেসিকে নেদারল্যান্ড ম্যাচে দেখেছি। তিনি এখন দলের সব খেলোয়াড়ের সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত থাকেন।’
ক্রোয়েশিয়া নক আউটে দুই ম্যাচ টাইব্রেকার খেলেছে। ১২০ মিনিটের বেশি খেলায় ক্লান্তি বেশি ভর করবে। তবে পেরিসিচ ও ডালিচ দুই জনই বলেছেন তারা প্রয়োজনীয় রিকভারি করে ফাইনালকে লক্ষ্যবস্তু করেছেন, ‘আমরা আবার ফাইনাল খেলতে পারলে ক্রোয়েশিয়ার গ্রেটেস্ট হিস্টোরিই হবে।’
এজেড/এনইউ