নতুনরা না পারলে ফিরতে হবে পুরোনোতে

নভেম্বরে নেপাল এসেছিল দুই ম্যাচের সিরিজ খেলতে। বাংলাদেশ ওই সিরিজ জিতেছিল (একটি জয় ও ড্র)। মাস তিনেক পর বাংলাদেশ নেপালের আমন্ত্রণে যাচ্ছে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলতে। ফিফা উইন্ডোতে এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক নেপাল ও সফরকারী কিরগিজস্তান অ-২৩ দল।
তিন দেশের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের লক্ষ্য সম্পর্কে কোচ জেমি ডে বলেন, ‘ফুটবল ম্যাচে অবশ্যই আমরা জিততে চাইব। তবে আগামী জুনে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান বাছাইয়ের আগে দলকে ও খেলোয়াড়দের পরখ করতে চাই।’
বাংলাদেশ সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিল ৫ ডিসেম্বর কাতারের দোহায়। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচের পর গত দুই মাসে আর খেলেনি বাংলাদেশ। কাতার সফরকারী দলের দশ জনের বেশি ফুটবলার নেই নেপালের ২৪ জনের মধ্যে। জাতীয় দলে প্রতিষ্ঠিত নাম নবীব নেওয়াজ জীবন, তপু বর্মণ, ইয়াসিন খান, মামুনুল ইসলাম, ইব্রাহীম, আতিকুর রহমান ফাহাদ, তৌহিদুল আলম সবুজ, রবিউল ইসলাম নেই এই ২৪ জনের মধ্যে।
নতুন দল সম্পর্কে কোচের ব্যাখ্যা,‘যারা লিগে খেলেছে আমি তাদেরই পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে ডেকেছি। অনেকে ইনজুরিতে ফলে তাদের বিবেচনা করা যায়নি।’
বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত ফিনল্যান্ডের তারিক কাজী কাতার সফরের সময় প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছিলেন। ক্যাম্পে প্রস্তুতিকালীন সময়ে ইনজুরিতে ছিটকে পড়েন। সেই ইনজুরি কাটিয়ে বসুন্ধরা কিংসে নিয়মিত হতে পারেননি সেভাবে। আবাহনীর ফরোয়ার্ড নবীব নেওয়াজ জীবনও ইনজুরির সাথে লড়ছেন। রবিউল ইসলামও ম্যাচে ছিলেন না সেভাবে। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই নতুনদের দিকে ভরসা করতে হয়েছে জেমিকে।
নতুনদের ব্যাপারে জেমি বলেন, ‘যাদের ডেকেছি তারা লিগে নিজেদের পজিশনে ও দলের জন্য সেরাটা দিয়েছেন। তারা জাতীয় দলে নিজেদের প্রমাণ করতে পারলে আমার হাতে বিকল্প বাড়বে। নয়তো আবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পুরনোদের ওপর ভরসা করতে হবে।’
ইয়াসিন খান ও তপু বর্মণ দলে না থাকায় সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের রিয়াদুল হাসান রাফি, টুটুল হোসেন বাদশার ওপরই নির্ভর করবেন জেমি। ১৩ মার্চ ফুটবলারদের রিপোর্টিং। ১৮ তারিখ নেপালের উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেন ফুটবলাররা।
এজেড/এমএইচ