মুক্তির আনন্দ, মুখে হাসি, নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের বিশেষ চাবি

মুশফিকুর রহিম জড়িয়ে ধরে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। হাবিবুল বাশারের সঙ্গে তামিম ইকবাল হয়তো কোনো সিরিয়াস বিষয়েও কথা বলছেন খুব হাসি হাসি মুখে। দল বেঁধে আড্ডা দিচ্ছেন সৌম্য সরকার, মেহেদি হাসান ও অন্যরা। মাস্ক নেই, দূরত্বের বাধ্যবাধকতাও। চলছে আড্ডা, হই-হুল্লোড়, আনন্দ। মোসাদ্দেক হঠাৎ বের হয়ে এলেন কোত্থেকে, বললেন, ‘অনেক দিন পর....’
ঘটনাগুলো নিয়মিত। সবসময় দেখা যায় এমন। কিন্তু তবুও এই ছবিগুলো কেমন আলাদা। ক্রিকেটারদের যে মুখাবয়ব, সেটাও। হাসিটা যেন একটু বেশি, বাড়তি আনন্দের, উচ্ছ্বাসেরও। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ করার আনন্দ কেমন, সেটা জানতে আপনি চাইলে দেখতে পারেন নিউজিল্যান্ডের কুইন্সটাউন থেকে বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তা।
যেখানে অনেকগুলো টুকরো টুকরো ছবি জানাচ্ছে বাংলাদেশের সামনে বাধ সরে যাওয়ার উচ্ছ্বাসের কথা। ক্রিকেটারদের হাসি হাসি মুখ বার্তা দিচ্ছে পেছন ফেলে আসা কঠিন সময়। অথবা তামিম ইকবাল আর বাশারের আলাপ মনে করাচ্ছে সামনে আসা ম্যাচের কঠিন বার্তাও।
এর মধ্যেই বাংলাদেশের জন্য হাজির হলো ‘উপহার’। একটা বিশেষ চাবি। যেটা কুইন্সটনের মেয়র জিম বোল্ট তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশের ম্যানেজার জালাল ইউনুসের হাতে। কুইন্সটাউন বিমানবন্দরেই।
উৎসবের আবহেই বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবালকে ফিরতে হলো পেছনে। দুই বছর আগের দুঃসহ স্মৃতিতে। ক্রাইস্টচার্চে যা ঘটেছিল, দুই বছর আগের সেই মসজিদে হামলায়। তামিম অবশ্য দিলেন সামনে তাকানোর বার্তা, বললেন প্রার্থনা করা ছাড়া তাদের এটা মনে রাখা খুব বেশি স্বস্তির কিছু না।
‘এটা কঠিন সময় ছিল আমাদের সবার জন্য। বিশেষত যারা তাদের পরিবারের সদসদ্যের হারিয়েছে তাদের জন্য। আমরা কেবল তাদের জন্য প্রার্থনা করতে পারি। খুব বেশি ভালো সময় ছিল না। কিন্তু আমাদের সামনে তাকাতে হবে। এটি সম্ভবত আমার চতুর্থ বা পঞ্চমবার নিউজিল্যান্ড সফর। এটা খুব সুন্দর দেশ, মানুষগুলোও দারুণ।’
তামিম বলছিলেন, ‘এটা আমাদের খুব আবেগের একটা অধ্যায়। আমাদের অনেক সময় লেগেছিল এটা থেকে বের হতে। যেটা আমি বললাম আমরা কেবল প্রার্থনা করতে পারি যাদের হারিয়েছি। আমি ওটাতে আর ফিরে যেতে চাই না এটা খুব ভালো অনুভূতি ছিল না। নিউজিল্যান্ড এখানে আসার জন্য অনেক কারণ দিয়েছে। আমি নিশ্চিত ভবিষ্যতেও আমরা এখানে আসতে কোনো রকম দ্বিধায় ভুগবো না।’
এমএইচ/এটি