জেলাগুলোর ফুটবলের চেয়ে নির্বাচনে আগ্রহ বেশি : সালাউদ্দিন

২০টি জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জেলা লিগ নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) কোনো তথ্যই দেয়নি। বাফুফে দফতর থেকে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হলেও তারা কোনো উত্তরই দেয়নি। সাত জেলা নানা কারণে লিগ আয়োজন করতে পারছে না। কিছু জেলা লিগ আয়োজন করেছিল, করোনার জন্য স্থগিত, আবার কিছু জেলা সামনের দুই-তিন মাসের মধ্যে করবে।
জেলা লিগের এই অবস্থায় ব্যক্তিগতভাবে খুশি নন বাফুফে সভাপতি ও জেলা ফুটবল লিগ কমিটির চেয়ারম্যান কাজী সালাউদ্দিন, ‘চিত্রটা খুব সুখকর কিছু নয়। আমার ব্যক্তিগত অভিমত, জেলাগুলো ফুটবলের চেয়ে, নির্বাচনেই বেশি আগ্রহী। তাই বলে সব জেলা নয়। অনেক জেলায় আবার সুন্দর ফুটবল হচ্ছে।’
জেলা পর্যায়ে ফুটবল স্থবিরতা নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন সালাউদ্দিন, ‘ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনের সময় খেলা চলে, জাতীয় নির্বাচনের সময়ও ম্যাচ চলেছে, ফুটবল থেমে থাকেনি। জেলা পর্যায়েও একইভাবে খেলা চলতে হবে।’
জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের ওপর বাফুফে সভাপতি হতাশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘আমরা যথাসাধ্য আর্থিক সাহায্য করি। তারা স্পন্সরও নিতে পারে চাইলে। জেলার সভাপতি ও কমিটিরও (ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের) তো দায়িত্ব আর্থিক জোগান দিয়ে লিগ আয়োজন করা।’
বাফুফে সরকার থেকে আর্থিক অনুদান পেয়েছে। সেই অনুদান জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে বণ্টন করেছে। অনুদান প্রাপ্তির পরও অনেক জেলা গড়িমসি করছে লিগ আয়োজনে। এর মধ্যে রাজশাহী ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে কমিটি বদল হওয়ায় সেই অনুদানের অর্থ নিয়ে উঠেছে প্রশ্নও।
জেলা ফুটবল কমিটির সভায় রাজশাহী ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে পুনরায় চিঠি দিয়ে আর্থিক বিষয়াদির ব্যাপারে জানতে চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই হিসাবের ব্যাপারে খুব সিরিয়াস বাফুফে সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক, ‘আমরা কিছু দিন আগে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের সঙ্গে সভা করেছি। মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে তাদের প্রদানকৃত টাকার হিসাব দিতে বলেছে। জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে অবশ্যই আমাদেরকে হিসাব দিতে হবে। আমরা সরকারকে হিসাব দেব।’
নির্বাচন এলে জেলা ফুটবল সংগঠকরা খুব সক্রিয় থাকেন। পরবর্তী সময়ে ফুটবল কার্যক্রমে একেবারে নিষ্ক্রিয়। জেলা লিগ, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, মহিলা ফুটবল অনেক কিছুতেই অনেক জেলা একেবারে অংশগ্রহণ করে না। ভোটের রাজনীতির জন্য বাফুফেও তাদের ভোটাধিকার হরণ করে না।
নিষ্ক্রিয় জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ভোটাধিকার সম্পর্কে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘আপনারা আপনাদের কাজটি সঠিকভাবে করেন। না হলে বোর্ড থেকে যে কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তখন আমার কিছু করার থাকবে না।’
নির্বাহী বোর্ড থেকে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত এলেও কাউন্সিলরশিপ বা ভোটাধিকার বাদ দিতে হলে সেটা সর্বোচ্চ বডি এজিএমের অনুমোদন ছাড়া হবে না বলে জানিয়েছেন সালাউদ্দিন, ‘সভাপতি হিসেবে আমার একক কোনো এখতিয়ার নেই। এজিএম এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’ যেসব জেলা এখনো লিগ আয়োজন করতে পারেনি, তাদেরকে আগামী দশ দিনের মধ্যে অবস্থান জানাতে হবে বলে চূড়ান্ত চিঠি দেবে বাফুফে।
এজেড/এমএইচ/এটি/এমএমজে