পান্তকে বাঁচানো বাসচালক চিনতেনই না তাকে

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলে এখন পর্যন্ত নিজের বাড়ি যেতে পারেনিনি ঋষভ পান্ত। বাড়ি ফেরার পথে শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে মাত্র কিলোমিটার বিশেক দূরে উত্তরাখণ্ডের রুরকিতে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন ভারতীয় এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। দুর্ঘটনার ফলে শারিরীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ পান্তকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন এক বাসচালক।
দুর্ঘটনার সময় পান্তের চালানো মার্সিডিজ গাড়ি থেকে তাকে বের করে আনেন ওই বাসচালক। এরপর তার জন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। শরীরের বিভিন্ন অংশ বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত আছেন পান্ত। সুশীল মান নামের সেই বাসচালকের অবদানের কারণেই মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন ভারতের এ মূল্যবান ক্রিকেটার।
তবে ঋষভকে বাঁচিয়ে অবাক করা এক তথ্য জানিয়েছেন সুশীল। পেশাদার এই বাসচালক ঋষভকে বাঁচানোর পর সংবাদমাধ্যমকে জানান, পান্তকে আগে চিনতেনই না তিনি। এক ব্যক্তি দুর্ঘটনায় পড়েছেন বলে তাকে সাহায্য করতে ছুটে গিয়েছিলেন। বাসচালকের এই কথায় বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই। কারণ ভারতের সর্বত্র জুড়েই ক্রিকেটাররা বেশ জনপ্রিয়। সব স্তরের মানুষ চেনেন বিরাট-ধোনিদের।
দুর্ঘটনার পর এক টিভি চ্যানেলকে সুশীল বলেন, ‘দুর্ঘটনা দেখে আমি সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার ধারে বাস দাঁড় করাই এবং ডিভাইডারের দিকে ছুটে যাই। ভেবেছিলাম হয়তো আমার বাসের তলায় চলে আসবে গাড়িটা। একাধিক বার ওলটপালট খেয়ে তারপর সেটা থামে। গাড়ির জানলা দিয়ে চালকের শরীরের অর্ধেকটা অংশ বেরিয়েছিল। উনি আমাকে বললেন যে, তিনি একজন ক্রিকেটার।’
সুশীল আরও বলেন, ‘আমি ক্রিকেট দেখি না। তাই জানি না ঋষভ পান্ত কে। কিন্তু আমার বাসে বাকি যারা ছিল তারা তাকে চিনতে পেরেছিল। পান্তকে বাইরে বার করার পর আমি দ্রুত গাড়িতে খুঁজে দেখলাম আর কিছু রয়েছে কিনা। একটা নীল ব্যাগ খুঁজে পাই, যেখানে সাত-আট হাজার টাকা ছিল। অ্যাম্বুল্যান্সে গিয়ে সেটা পান্তের হাতে তুলে দিই।’
এছাড়াও সুশীল জানিয়েছেন, পান্তের কাছে পৌঁছানোর পর গাড়িতে আহত অবস্থায়ই তার মাকে ফোন করতে বলেন ভারতীয় এ ক্রিকেটার। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। কারণ এসময় পান্তের মায়ের ফোন বন্ধ ছিল বলে জানান উদ্ধারকারী বাসচালাক।