বিশাল অঙ্কের টাকা নিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন পান্ত?

শুক্রবার সকালে উত্তরাখন্ডের রুরকিতে এক মর্মান্ত্বিক সড়ক দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন ঋষভ পান্ত। বিসিসিআইয়ের জানানো সর্বশেষ তথ্যমতে, আশঙ্কামুক্ত আছেন তারকা ক্রিকেটার। তবে মাথায় চোট পেয়েছেন পান্ত। এছাড়া ডান হাঁটুতে একটি লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে এবং তার ডান হাতের কব্জি, গোড়ালি, পায়ের আঙুলেও আঘাত পেয়েছেন।
বাড়ি থেকে মাত্র কিলোমিটার বিশেক দূরে রুরকির রাস্তায় দুর্ঘটনায় পড়েন পান্ত। এসময় তার সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন না কেউই। একা একাই সারা রাত গাড়ি চালিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। এসময় তার ব্যাগেও ছিল চার লাখ টাকা। এছাড়া তিনি যে রুরকি যাচ্ছেন সে তথ্য নাকি জানতেন না তার পরিবারের কেউই। দুর্ঘটনার পরে পাওয়া এসব তথ্য ধীরে ধীরে রহস্যজনক করে তুলছে পুরো ব্যাপারটাকে।
দুর্ঘটনার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে তেমন কিছুর উত্তর দেননি পান্ত। রহস্য থেকে যায় রহস্য হয়েই। তবে জট খুলেছেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক নিজেই। দুর্ঘটনার পর পান্তকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসক সুশীল নাগর এ ভাবে ঝুঁকি নিয়ে তার বাড়ি যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে রহস্যের জট খোলেন তিনি।
পান্ত জানান, বাংলাদেশ থেকে ফেরার পর মাকে চমকে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। তাই কয়েকটা দিন দিল্লিতে কাটিয়ে রুরকির বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মা এবং পরিবারের সদস্যদের কাছে পুরো বিষয়টি গোপন রাখতে একা গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ইচ্ছা ছিল পরিবারের সকলকে নিয়ে বড় করে ইংরেজি নববর্ষ পালন করবেন। সে জন্য সঙ্গে নিয়েছিলেন পর্যাপ্ত টাকা। দিল্লির প্রতিবেশিরাও যাতে বাড়ি যাওয়ার কথা জানতে না পারেন, তাই রাতের অন্ধকারে যাত্রা শুরুর পরিকল্পনা করেছিলেন ২৫ বছর বয়সী আগ্রাসী ক্রিকেটার।
এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক সুশীল নাগর বলেন, ‘পান্ত রক্তাক্ত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আসার পর কিছু কথা হয়। সে বলেছে, মাকে চমকে দিতে চেয়েছিল। তাই গোপনে বাড়ি যাচ্ছিল। শুক্রবার সকালে হঠাৎ মায়ের সামনে হাজির হতে চেয়েছিলেন তিনি। পরিবাবের সকলকে নিয়ে বছরের শেষে আনন্দ করার পরিকল্পনা করেছিল।’ এছাড়া দ্রুত গাড়ি চালানোর ব্যাপারে পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ঘুমিয়ে পড়ায় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন।
সক্ষম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকে পরে চিকিৎসার জন্য পান্তকে দেরাদূনের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। প্রয়োজনে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে তার চিকিৎসা করানো হতে পারে। চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। নিয়মিত খবর রাখছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও।
এনইআর