সাধারণের মতোই নেপাল যাবে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ফুটবল দল নেপালে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে আন্তঃদেশীয় বিমান যোগাযোগে পরিবর্তন এসেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন নেপাল সফরের জন্য বাংলাদেশ দলকে চাটার্ড বিমানে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল। বাংলাদেশ-নেপাল ফ্লাইট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বাংলাদেশ বিমানের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে। মার্চের মাঝামাঝি বাংলাদেশ-নেপাল ফ্লাইট চলাচল শুরু হচ্ছে। আমরা খুব সম্ভাব্য ১৮ মার্চ নেপালের উদ্দেশে আমাদের দল রওনা হবে। বিমানের সঙ্গে আমরা গ্রুপ টিকিট নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি। ফলে আমরা চাটার্ড বিমান নিয়ে আপাতত আর ভাবছি না।’
বাংলাদেশ দল ১৩ মার্চে ক্যাম্প শুরু করবে। ১৪ মার্চ থেকে অনুশীলন শুরু। জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে তার ক্লাব কলকাতা মোহামেডান জাতীয় দলের জন্য ছেড়ে দেবে ইতোমধ্যে জানিয়েছে।
জামালের সম্ভাব্য নেপালে পৌঁছানো সময় সম্পর্কে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কলকাতা মোহামেডান আমাদের চিঠি দিয়েছে তারা ১৮ মার্চ জামালকে ছাড়বে। এরপর জামাল ঢাকায় আসলে দুই একদিন বিশ্রাম দিয়ে ২১ মার্চ নেপাল যাবে নাকি ভারত থেকেই যাবে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে যেখান থেকেই যাক আমরা আশা করছি ২১ মার্চের মধ্যে সে নেপাল থাকবে।’
নেপাল সফরের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকরদের জন্য ছিল অন অ্যারাইল ভিসা। করোনা পরিস্থিতির জন্য সেই নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন আসছে। বাংলাদেশ দলকে ঢাকা থেকে নেপালের ভিসা নিয়ে যেতে হবে। কাঠমান্ডুস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ঢাকাস্থ নেপালের দূতাবাসের সঙ্গে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে বাফুফে, ‘ভিসা, টিকিট এই রকম বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। রোববার বা সোমবারের মধ্যে আশা করি সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।’
এক দিন পর থেকেই জাতীয় দলের কার্যক্রম শুরু। কিন্তু এখনো ম্যানেজার, দলনেতার নাম ঘোষণা করতে পারেনি বাফুফে। এই দুইটি নামের জন্য আরও দুই একদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক।
অন্যদিকে বাফুফে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে রেখেছিল যে, বাংলাদেশ ২৫ মার্চ আফগানিস্তান ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। এএফসি’র কাছ থেকে বাফুফের এই চিঠির প্রেক্ষিতে কোনো উত্তর আসেনি।
এজেড/এমএইচ/এটি