হকির সভায় ‘ক্যাসিনো’ সাঈদ

বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাহী সভা ছিল রাজধানীর ফ্যালকন হলে। সেই সভা শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে প্রবেশ করেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক সাঈদ। সভার উপস্থিতি পত্রে স্বাক্ষরও করেন সাঈদ।
২০১৯ সালে হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে সাঈদ সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর কয়েক মাস পরেই ক্যাসিনো কান্ডে নাম আসে যুবলীগ নেতা ও আরামবাগের কাউন্সিলর সাঈদের। এরপর থেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন সাঈদ। তার অনুপস্থিতিতে হকি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি যুগ্ম সম্পাদক-১ মোঃ ইউসুফকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কর্মকান্ড পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। সাঈদের অবর্তমানে তিনি গত আড়াই বছরের বেশি সময় ফেডারেশন পরিচালনা করেছেন।
সম্প্রতি সাঈদ দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে হকি অঙ্গনে আসলেন আজ। সাঈদ পুনরায় ফিরে আসায় হকি অঙ্গনে নতুন মোড় নিয়েছে। তার প্যানেলে থাকা কর্মকর্তারা ফের চাঙ্গা হয়েছেন। তবে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আজকের সভায় সে ছিল এবং স্বাক্ষর করেছে এটুকু বলতে পারি। তার দায়িত্ব এবং আইনী বিষয়গুলো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং সভাপতি মহোদয়ের ব্যাপার।’
আজকের সভায় আলোচনায় ছিল অ-২১ দলের কোচ প্রসঙ্গ। বিদেশি কোচ নিয়োগ নিয়ে আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত দেশি কোচের সিদ্ধান্তই এসেছে। ‘সকলের মতামতের ভিত্তিতে যারা অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন করিয়েছে সেই কোচিং স্টাফকে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি চূড়ান্ত পর্বে ভালো ফলাফলের জন্য বিদেশে ম্যাচ খেলা ও কোচিং স্টাফ শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত এসেছে’ বলেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক।
মাস তিনেক আগে ফ্রাঞ্চাইজ হকি হয়েছিল। হকি ফেডারেশন স্বত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা রয়েছে। অন্যদিকে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো থেকে খেলোয়াড়রা অর্থ পায়নি। এই বিষয়টি নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। তিনি বলেন, খেলোয়াড়রা অর্থ না পাওয়ার বিষয়টি আমাদের লিখিতভাবে দিলে আমরা পদক্ষেপ নিতে পারব।
এজেড/এফআই