ভারতীয় ক্রিকেটের গোমর ফাঁস করা চেতন শর্মার পদত্যাগ

সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের একটি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে দেশের ক্রিকেটের অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয় ফাঁস করে দেন ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা চেতন শর্মা। যা নিয়ে ক্রিকেট মহলে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন চেতন শর্মা।
দেশটির সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবরে তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে একটি টিভি চ্যানেলের ‘স্টিং অপারেশন’-এ নাম জড়িয়েছিল চেতন শর্মার। সেখানে বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এবং বিরাট কোহলির মধ্যে ইগোর লড়াই, যশপ্রীত বুমরার ব্যথা কমানোর ইঞ্জেকশন নিয়ে জোর করে খেলা— ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি। তারই পরিণাম হিসাবে তার বিরুদ্ধে বোর্ড ব্যবস্থা নিতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছিল। তবে তার আগে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিত বিসিসিআই। ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত আর অপেক্ষা করেননি চেতন শর্মা। তার আগেই বোর্ড বিদায় বলে দিলেন এই প্রধান নির্বাচক।
আরও পড়ুন : ‘কোহলির অধিনায়কত্ব হারানো নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য প্রধান নির্বাচকের’
ফাঁস হওয়া ওই ভিডিওতে চেতনকে বলতে শোনা যায়, ‘সৌরভ এবং বিরাটের মধ্যে একটা ইগোর লড়াই ছিল। এক সময় ভারতীয় দলের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন গাঙ্গুলি। আর বিরাট ছিলেন দলের অধিনায়ক। সেই সময় দুজনের মধ্যে কে বড় তা নিয়ে একটা লড়াই চলছিল।’
চেতন শর্মা আরও বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাওয়া চোট পুরোপুরি না সারিয়েই খেলেছিলেন বুমরা। তিনি একটি ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন। ছোটখাটো চোটের ক্ষেত্রে খেলোয়াড়রা অনেক সময় এ রকম ইঞ্জেকশন নেন। বুমরা ব্যথা কমিয়ে খেলতে গিয়ে নিজের চোট আরও বাড়িয়ে ফেলেছেন। যে কারণে এখনও ভুগছেন তিনি।’
এর আগেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের ব্যর্থতার পর চেতন শর্মাসহ গোটা নির্বাচক কমিটিকেই অপসারণ করেছিল বোর্ড। এর পরই বোর্ডের ওয়েবসাইটে নির্বাচক চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেখানে আবেদন করার পর আশ্চর্যজনকভাবে চেতনকে আবারও নিয়োগ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, চেতনকে করা করা হয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান। যদিও বোর্ডের সেই পদক্ষেপ অনেককেই অবাক করেছিল। নতুন করে নির্বাচক প্রধান হওয়ার মাস খানেকের মধ্যেই আবারও তিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন। শেষমেশ আশ্চর্যজনক সেই নিয়োগেরও সমাপ্তি হলো। তবে বোর্ডের পক্ষ থেকে চেতনের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেটাই এখন দেখার বিষয়!
এএইচএস