খেলার উপযোগী পরিবেশ করার চেষ্টা চলছে

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। আজ (সোমবার) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ছিল ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল।
ফুটবলের সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে আমরা এই আয়োজন করেছি। আমাদের বিশ্বাস আমরা সফল হয়েছি। দেড় মাসব্যাপী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়েছে। ঢাকা বাসীর মাঝে অত্যন্ত সাড়া পড়েছে। আমরা প্রতি বছর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করব। দিনে দিনে কলেবর বাড়বে।’
ঢাকার তরুণদের অনেকে ইন্টারনেটে আসক্ত। আবার অনেক এলাকায় খেলার মাঠ পরিত্যাক্ত বা দখল করা। খেলার মাঠ হবে শুধুই খেলার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছেন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, ‘খেলাধুলার মাঠের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য কাজ করছি। প্রতিটি ওয়ার্ডেই খেলার উপযোগী পরিবেশ করার চেষ্টা চলছে। অবৈধ স্থাপনা উৎখাত করব। আমরা নয়টি ওয়ার্ডে মাঠ শনাক্ত করেছি। যুবরা এতে খেলবে। ঢাকা বাসী খেলামুখী হোক।’
১১ নম্বর ওয়ার্ডে একটি মাঠ রয়েছে। সেই মাঠটি সিটি কর্পোরেশনের অধীনে নেই। ১১ নম্বর ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশনের অধীনে ফিরিয়ে আনার জন্য মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানালেন দক্ষিণের মেয়র, ‘১১ নম্বর মাঠে র্যাবের একটি অফিস রয়েছে। আমরা মন্ত্রী মহোদয়কে অনুরোধ করছি এই মাঠটি সিটি কর্পোরেশনের অধীনে ফিরিয়ে দিতে।’
ফুটবল ফাইনাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম দক্ষিণের মেয়রের প্রশংসা করে বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে আধুনিক শহর, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী, ফুটপাতের দখল উচ্ছেদ সহ ক্রীড়াবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।’
ফুটবল ফাইনাল ও প্রতিযোগিতার সমাপনীর মঞ্চের পাশে ৫০ ফুট উচ্চতার বঙ্গবন্ধু তর্জনী প্রদর্শিত হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় এই তর্জনী। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণের মেয়র বলেন, ‘আমাদের কাউন্সিলরকে ধন্যবাদ যিনি এই তর্জনী নকশা ও নির্মাণে সহায়তা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর এই তর্জনীর আমাদের স্বাধীনতার নির্দেশক। আমরা সেটা স্মরণ করে এই নির্দশন করেছি।’
এজেড/এমএইচ