রোনালদো জাদুতে আল নাসেরে পরিবর্তনের ছোঁয়া

ইউরোপের নামিদামি ছেড়ে সৌদি আরবের আল নাসেরে যোগ দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেখানে গিয়ে অবশ্য ভালোই পারফর্ম করছেন সিআরসেভেন। হয় নিজে গোল করছেন নতুবা করাচ্ছেন। তাতে দলও আছে দারুণ ছন্দে। লিগ টেবিলের শীর্ষে এখন সৌদির ক্লাবটি।
মাঠের ফুটবলের পাশাপাশি সৌদির ক্লাবটিতে আরও অনেক পরিবর্তন এনেছেন রোনালদো। সেখানে যাওয়ার পর থেকে তাকে দেখে বদলে গিয়েছেন আল নাসেরের একাধিক ফুটবলার। আল নাসেরের পুষ্টিবিদ জোসে ব্লেসা জানিয়েছেন, সৌদির ক্লাবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যোগ দেওয়ার পর দলের সতীর্থরা আগের থেকে আরও বেশি এবং কড়া ট্রেনিং মেনে চলেন।
শরীর গঠনে রোনালদোর আগ্রহের ব্যাপারটি বেশ পুরনো। তাই তো ৩৮ বছর বয়সেও নিজেকে দারুণভাবে ফিট রেখেছেন পর্তুগিজ তারকা। পুষ্টিবিদ জোসে ব্লেসাও রোনালদোর এই অভ্যাসে বেশ সন্তুষ্ট। স্প্যানিশ সংবাদপত্রকে তিনি জানিয়েছেন, পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে রোনাল্ডোর পড়াশুনা বেশ ভালো। তিনি সেই সকল খাদ্যই বেছে নেন যা থেকে ভরপুর এনার্জি পাবেন। আর তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই বদলে যেতে শুরু করেছে পুরো দল।
আল নাসেরের পুষ্টিবিদ বলেন, ‘ও এখানে আসার পর থেকে সকল প্লেয়াররা আরও বেশি করে এবং কঠিন ট্রেনিং মেনে চলছে। প্রত্যেক খেলোয়াড় ওকে দেখে কড়া ডায়েট মেনে চলেন। আমাদের কথা হলেই ওর ডায়েট নিয়ে আলোচনা হয়। ও ফিটনেস মাত্রা মাপার জন্য একটা রিং ও ব্রেসলেট পরে।’
ব্লেসা আরও জানান, রোনালদোর স্মার্ট রিংয়ে ঘুমের পরিমাণ ও শারীরিক কার্যকলাপ মাপা যায়। সেটিতে হৃদস্পন্দন, শরীরের তাপমাত্রার আপডেটও ওঠে। একইসঙ্গে তিনি জানান, ফিটনেস পাগল রোনালদো সবার প্রথমে অনুশীলন করতে আসেন আর সবচেয়ে শেষে অনুশীলন থেকে ফেরেন।
রোনালদোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ এই পুষ্টিবিদ বলেন, ‘তিনি ইতিহাসের সেরা ফুটবলার বা সেরা দুজনের একজন। অন্য সকলের মতো আমিও ভেবেছিলাম, ওর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন হবে। আমি ওর চেয়ে বেশি পেশাদার ফুটবলার আগে দেখিনি।’
এনইআর