আফতাব ঝলকের পরও শেষ ম্যাচে হার রফিকদের

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৬০/৯ ২০ ওভারে (নাজিমউদ্দিন ৩২, আফতাব ৩৯, হান্নান ৩৬; এনটিনি ২/২৬, শাবালালা ৩৩/২)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৬১/০, ১৯.২ ওভারে (পাটিক ৮২, উইক ৬৯)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ১০ উইকেটে জয়ী।
আফতাব আহমেদ, হান্নান সরকার আর নাজিমউদ্দিনের ত্রিশোর্ধ তিন ইনিংসে লড়াকু পুঁজিই পেয়েছিল বাংলাদেশ লেজেন্ডস। তবে বোলারদের ব্যর্থতায় শেষমেশ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারতে হয়েছে ১০ উইকেটেই। এর ফলে চার ম্যাচের সবকটিতে হেরে দেশে ফিরছে মোহাম্মদ রফিকের দল।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। নাজিমউদ্দিনের কল্যাণে পায় ঝড়ো এক সূচনা। তবে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক জন্টি রোডসের দারুণ এক ফিল্ডিংয়ে প্রথম উইকেট খোয়ায় বাংলাদেশ। পয়েন্টে বলটা ঠেলে দিয়ে মেহরাব হোসেন অপির এক রানের চেষ্টা ব্যর্থ হয় রোডসের দারুণ এক থ্রোতে। এরপর নাজিমউদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হয় আফতাবের ঝড়। এক চার আর তিনটি ছয়ে তুলে নেন ২৪ বলে ৩৯ রান।
এর আগেই ৩২ বলে ৩৩ রান করে আউট হন নাজিমউদ্দিন। তার বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে আফতাব আর হান্নানের কল্যাণে ৬১ রান যোগ হয় বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। দলীয় ১১১ রানে আফতাবও বিদায় নেন। এর দুই ওভার পর বিদায় নেন হান্নানও। এরপর অবশ্য বড় ইনিংসের দেখা পাননি আর কেউ। ফলে শেষ ২৭ বলে ৩০ রান তুলে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৬০ রানে।
বোলিংয়ের পুরোটাই অবশ্য ব্যর্থতার গল্প। প্রোটিয়া ওপেনার অ্যান্ড্রু পাটিক ও মরনে ফন উইকের অর্ধশতকের সামনে কোনো প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি মোহাম্মদ রফিকরা। ফলে চার ম্যাচের চারটিতেই হেরে দেশে ফেরা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এনইউ/এটি