শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম ভেন্যু বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার ১৬ বছর হলেও ভেন্যু হিসেবে এটি সেভাবে মর্যাদা পায়নি। এবার সেই স্টেডিয়ামকে ভেন্যুর তালিকা থেকেই বাদ দিয়েছে বিসিবি। এরপর একে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বগুড়ার ক্রিকেটভক্তরা।
শুক্রবার বিকেলে স্টেডিয়াম ফটকের সামনে এআরসি স্পোর্টিং ক্লাব এবং সচেতন বগুড়াবাসীর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিসিবির এমন আচরণে আমরা খুবই কষ্ট পেয়েছি। কেবল জাতীয় দলের মুশফিকুর রহিম, শরিফুল ইসলামই নয়, এখান থেকে উঠে এসেছে অনুর্ধ্ব-১৯ দলের তামিম ও তৌহিদ হৃদয়। এছাড়া খাদিজাতুল কোবরা, শারমিন সুলতানা, ঋতু মনিসহ আরও অনেক নারী ক্রিকেটারের উত্থানের পেছনে ভূমিকা রয়েছে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের। বিসিবির স্টাফ ও কোচরাই তাদের হাতেখড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখান থেকে বিসিবি চলে গেলে বগুড়া তথা উত্তরাঞ্চলের নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটার তৈরিতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। খেলাধুলা না থাকলে উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা বিপথে চলে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
মানববন্ধন থেকে তারা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একইসঙ্গে অনতিবিলম্বে বিসিবির এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
আবুল হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বগুড়া ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আতিকুর রহমান মেহেদী, জেলা আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি জাহিদ ইকবাল জিতু, এআরসি স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি মো. রাশেদুজ্জামান পিয়াস, সাধারণ সম্পাদক নূর আলম, ক্লাবের টিম ম্যানেজার রাকিবুজ্জামান উৎসব, ক্লাবের সদস্য নূরনবী, জান্নাতুল নাঈম, সিহাব, সাবেক মহিলা কাউন্সিলর রোকেয়া বেগম রঞ্জনা প্রমুখ।
এর আগে, খেলাধুলার ক্ষেত্রে বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার অসহযোগিতার কথা জানিয়ে গত বুধবার (১ মার্চ) স্টেডিয়াম থেকে লোকবলসহ মালামাল গুটিয়ে নেওয়ার বিবৃতি দেয় বিসিবি। এতে স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা বিসিবির ১৭ কর্মকর্তাকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ঢাকায় রিপোর্ট করতে বলা হয়। পরে বৃহস্পতিবার থেকে তারা স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেন। তবে মালামাল গাড়িতে উঠাতে বিলম্ব হওয়ায় শনিবার রিপোর্ট করবেন বলে জানান শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের বিসিবির ভেন্যু ম্যানেজার জামিলুর রহমান জামিল।
এএইচএস