২২ বছর পর ফের সৌদিতে তারা

নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ ফুটবল দল সৌদি আরবে অনেক ম্যাচ খেলেছে। তখন বাংলাদেশ ফুটবল দল হরহামেশাই সৌদি সফর করত। ২০০১ সালে সর্বশেষ সৌদি আরবে ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই বিশ্বকাপ বাছাই টুর্নামেন্ট খেলার ২২ বছর পর আবারও বাংলাদেশ দল সৌদিতে অবস্থান করছে।
২২ বছর আগে আসা সৌদি আরবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন মিডফিল্ডার ইকবাল হোসেন ও ডিফেন্ডার হাসান আল মামুন। ২২ বছর পরও তারা দলের সঙ্গী। তবে এবার দু’জন দুই ভূমিকায়, ইকবাল হোসেন ম্যানেজার আর হাসান আল মামুন দলের সহকারী কোচ।
ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকায় হলেও দুই দশক পর সৌদিতে পা রেখে তারা বেশ রোমাঞ্চিত। মাস তিনেক আগে কাতার বিশ্বকাপ দেখতে এসে সৌদি আরবে ওমরাহ হজ্ব করেছিলেন হাসান আল মামুন। ইকবালের সৌদি আসা দুই দশক পরেই। তাই সুদূর মদীনা থেকে ইকবালের কণ্ঠে আবেগটা একটু বেশিই ঝরল, ‘আমাদের আবারও সৌদিতে এনেছে ফুটবল। ২০০১ সালের সেই দলের অনেকেই এখন নানা জায়গায় চলে গেছেন। আমরা ফুটবলের সঙ্গে রয়েছি। ফুটবলই আমাকে ও মামুনকে আবার সৌদিতে একত্রিত করল।’
আরও পড়ুন : ‘ওমরাহ করলেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা’
২০০১ সালের পর দীর্ঘদিন সৌদিতে বাংলাদেশ সিনিয়র ফুটবল দল ম্যাচ বা অনুশীলন করতে যায়নি। কাতার বিশ্বকাপের সময় সৌদি ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। সেই আলোকে বাংলাদেশ ফুটবল দল এবার প্রায় দুই সপ্তাহের অনুশীলন করছে মদীনায়। সুদূর মদীনা থেকে দাম্মামের অতীত স্মৃতি স্মরণ করলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুন, ‘অনুশীলনের ফাঁকে আমার ও ইকবালের মধ্যে নানা বিষয়ে কথা হয়। সেই গল্পে ঘুরেফিরে ২০০১ সালে দাম্মামে অনুষ্ঠেয় খেলাগুলোর কথা মনে পড়ে। আমরা দুজনই দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিলাম। তখন দু’জনই প্রায় পুরো সবগুলো ম্যাচ খেলেছি। ২২ বছর পেরিয়ে গেলেও মনে হয় যেন এই সেই দিন।’
জাতীয় ফুটবল দলের প্রায় দুই যুগের সঙ্গী টিম অ্যাটেনডেন্ট মো. মহসীন। এবার সৌদি আরবে দলের সঙ্গী হলেও তিনি ২০০১ সালের সফরে ছিলেন না।
এজেড/এএইচএস