অ্যাথলেটিক্সে শেষ দিনে আপত্তি-অভিযোগ

‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’ দেশের চিরন্তন প্রবাদের সঙ্গী হতে পারল না বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা আজ সমাপ্ত হয়েছে। কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে লক্ষাধিক ক্ষুদে ক্রীড়াবিদের অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে পুরস্কার প্রদান ছাড়াই।
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু পুরস্কার প্রদান না করার কারণ প্রসঙ্গে বলেন,‘ কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে অসঙ্গতি সংক্রান্ত। এক বিভাগের খেলোয়াড় আরেক বিভাগে খেলানো, নির্ধারিত বয়সের বেশিরও অভিযোগ ছিল। আমরা এইগুলো আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করে প্রকৃত বিজয়ীদের কাছে পুরস্কার পৌছে দেব।'
অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন সূত্রে জানা গেছে, খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার উপরই অভিযোগের তীর বেশি। খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার শীর্ষ কর্তার সঙ্গে ফেডারেশনের কথা কাটাকাটিও হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত শেখ কামাল যুব গেমসেও খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার শীর্ষ কর্তার উপর অসদচারণের অভিযোগ শোনা গিয়েছিল।
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পুরো দেশজুড়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে। একেবারে উপজেলা পর্যায় থেকে আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স সম্পন্ন হয়ে গতকাল চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয়েছে। আজ চূড়ান্ত পর্বের সমাপনী দিনে নানা অসঙ্গতি ধরা পড়ে ফেডারেশনের চোখে। উপজেলা পর্যায় থেকে হয়ে আসা এই প্রতিযোগিতার শেষ দিন এই অসঙ্গতি ধরা পড়ল। এর কারণ সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন খেলা আয়োজন করেছে। আমরা ট্যাকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়েছি। চূড়ান্ত পর্যায়ে ফেডারেশন সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করছে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জানতে চাইব খেলোয়াড়দের স্কুল, মাদ্রাসার কিনা। এভাবে সত্যতা যাচাই করব।'
বাংলাদেশের অ্যাথলেটিক্সে সঙ্গে দীর্ঘদিন রয়েছেন ফারুকুল ইসলাম। ফেডারেশনের এই সহ-সভাপতি বলেন, 'বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই আসর আয়োজন হয়েছিল তরুণ মেধাবী খেলোয়াড় তুলে আনতে। সেখানে বেশি বয়সের খেলোয়াড় খেলানো সম্পূর্ণ অনৈতিক।'
প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে এই আসর সমাপ্ত হলো। ঘুমিয়ে পড়া অ্যাথলেটিক্সকে জাগিয়ে তুলতে মেধাবীদের সন্ধান পাওয়াই ছিল লক্ষ্য। অসঙ্গতিপূর্ণ চূড়ান্ত পর্বে সেই লক্ষ্যপূরণ নিয়ে খানকিটা সংশয় তৈরি হলেও আশা ছাড়তে রাজি নন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, 'আমরা এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ট্যালেন্ট পেয়েছি। পদকের জন্য অনেকে অসাধুতার আশ্রয় নিয়েছে। আমরা কিছুটা সময় নিয়ে হলেও প্রকৃত ফলাফলের মাধ্যমে মেধাবীদেরই স্থান দেব।'
এজেড/এইচজেএস