ক্রীড়া সামগ্রী কেনার বিকল্প ভাবনা

প্রায় সব স্পোর্টস ডিসিপ্লিনেই এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার জন্য সেই মানের ক্রীড়া সরঞ্জামও প্রয়োজন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সব খেলার জন্যই দেশের বাইরে থেকে সামগ্রী আমদানি করতে হয়। আমদানি করতে অতিরিক্ত ব্যয়ের পাশাপাশি নানা বিড়ম্বনায় পড়ে ক্রীড়া সংগঠনগুলো।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিশেয়নে যুব গেমস নিয়ে এক মত বিনিময় সভা হয়েছিল। সেই সভায় গেমসের নানা দিকের পাশাপাশি দেশ থেকেই ক্রীড়া সামগ্রী কেনার ব্যাপারেও আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ও আরচ্যারি ফেডারেশনের সভাপতি লে.জেনারেল (অব) মইনুল ইসলাম দেশ থেকেই ক্রীড়া সামগ্রী ক্রয়ের বিষয়টি উথাপন করেন। তার নিজের ফেডারেশন ইতোমধ্যে দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকেই সামগ্রী সংগ্রহ করছে বলে জানান,' আমরা ইতোমধ্যে আরচ্যারির বো নিয়েছি। মান ও মূল্য উভয়ই সন্তোষজনক। আমাদের দেশেই আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়া সামগ্রী কেনা সম্ভব। আমাদের সেই রকম সক্ষমতামূলক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দেশ থেকে সামগ্রী কেনার মাধ্যমে আমদানী শুল্ক, বৈদেশিক মুদ্রাসহ নানা বিষয়ে সাশ্রয়ী হবে। '
ক্রীড়াঙ্গনের স্বার্থে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তিরও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি গতকালের সভায়, 'যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন এবং প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হতে পারে। ফেডারেশনগুলো যেন সামগ্রী বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার না করতে পারে সেই বিষয়টিও নজরদারিতে রাখতে হবে' বলেন এই ক্রীড়া সংগঠক।
শেখ কামাল দ্বিতীয় যুব বাংলাদেশ গেমস শেষে সার্বিক বিষয়ে অনেকেই আলোচনা করেছেন। খুব দ্রুততম সময়ে গোছালো একটি গেমস শেষ করার জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনকে ধন্যবাদও দিয়েছেন বিভিন্ন ফেডারেশনের কর্মকর্তারা।
সদ্য সমাপ্ত গেমসের মূল্যায়নের সঙ্গে উঠে এসেছে আগামী গেমস শক্তিশালী করার পরিকল্পনাও , 'এক খেলোয়াড় একাধিক খেলায় খেলছে, কোন জেলায় কোন খেলায় কতজন খেলোয়াড় আছে, সেটির সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যভান্ডার নেই। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে অ্যাক্রিডিটেশন সম্পন্ন করলে সব তথ্য একসঙ্গে পাওয়া যাবে। আমি এই দায়িত্ব নিতে চেয়েছি'-বলেন যুব গেমসের অ্যাক্রিডিটেশন কমিটির আহ্বায়ক মইনুল ইসলাম।
এজেড/এফআই