মোহামেডানকে উড়িয়ে আবাহনী কোচের তৃপ্তি

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে আবাহনী মুখোমুখি হয়েছিল মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই। সে ম্যাচে ৩-০ গোলের দারুণ জয়। মৌসুমের প্রথম জয় আর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারানোর স্বাদটা আবাহনী কোচ মারিও লেমোসের জন্যে বয়ে এনেছে বাড়তি তৃপ্তি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই দলের লড়াইয়ে প্রথমার্ধে কিছুটা এগিয়ে ছিল মোহামেডানই। তবে শেষমেশ আবাহনীর শক্তির জায়গা সেটপিস আর লম্বা থ্রোয়ের কাছেই হেরেছে সাদা কালোরা। রায়হান হাসানের লম্বা থ্রোয়ে ৪১ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন মাসিহ সাইঘানী। বিরতির ঠিক আগে জুয়েল রানার কল্যাণে ব্যবধান বাড়ায় ১১ বারের শিরোপাজয়ীরা। ৫৩ মিনিটে রায়হানের লম্বা থ্রোতেই আসে জুয়েলের দ্বিতীয় ও আবাহনীর তৃতীয় গোল। তাতে ম্যাচটা ধরাছোঁয়ার বাইরেই চলে যায় মোহামেডানের।
এ নিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ দুই লড়াইয়ে মোহামেডানের জালে ৭ গোল জড়াল আবাহনী। এর আগে গেলো মৌসুমের বাতিল হয়ে যাওয়া বিপিএলে লেমোসের দল ৪-০ গোলে হারিয়েছিল মোহামেডানকে। এরপর এবার ফেডারেশন কাপের ৩-০। এমন দাপুটে পারফর্ম্যান্সের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উচ্ছ্বাসই প্রকাশ করলেন আকাশীদের কোচ মারিও লেমোস। বললেন, ‘মোহামেডান আর আবাহনীর দ্বৈরথটা বেশ পুরনো, ঐতিহ্যবাহী। পৃথিবীর সর্বত্র এমন ডার্বির মাহাত্ম্য বেশ। এমন এক ম্যাচে মোহামেডানকে হারানোর তৃপ্তিটা অনেক, আর সব ম্যাচ থেকে এর স্বাদ ভিন্ন।’
তিনটি গোলের দুটোই সরাসরি এসেছে সেটপিস থেকে। একে ভালো একটা দিক হিসেবে দেখছেন কোচ লেমোস, ‘দল ভালো খেলেছে। গোলগুলো এসেছে সেটপিস থেকে। নিজেদের সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়েছি আমরা। এটা বেশ ভালো একটা ব্যাপার।’
মাসিহ সাইঘানি এ মৌসুমেই ফিরেছেন আইএসএল থেকে। ফিরেই একটা গোল করলেন, সতীর্থকে দিয়ে করালেন আরও একটা। রক্ষণাত্মক কাজেও ছিলেন যথেষ্ট নিখুঁত। তার সঙ্গে তরুণ ফরোয়ার্ড জুয়েলেরও প্রশংসা করলেন আবাহনী কোচ। বললেন, ‘ফিরে এসেই মাসি দলের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে, খেলেছেও ভালো। জুয়েল সহ অন্যরাও নিজের সেরাটা দিয়েছে। সব মিলিয়ে ম্যাচটা ভালো ছিল।’
এদিকে হতাশ মোহামেডান কোচ শন লেন জানালেন সেটপিস ছাড়া ভালোই খেলেছে তার দল। বললেন, ‘ওদের গোলগুলো এসেছে সেটপিস থেকে। সেটাই ম্যাচের দৃশ্য বদলে দিয়েছে। এটা একপাশে রাখলে আমরা খারাপ খেলিনি। তবে আশা করছি পরের ম্যাচটা জিতে নকআউটে চলে যেতে পারবো।’
এনইউ