এক চারে গুজরাটের নায়ক তেওয়াতিয়া

মোহালিতে গুজরাটের জয়ের জন্য শেষ চার বলে প্রয়োজন ছিল ৬ রান। তৃতীয় বলে রাহুল তেওয়াতিয়ার সিঙ্গেলের পর পরের বলের ডেভিড মিলার নিতে পারলেন আরেকটি। স্যাম কারেনের দুর্দান্ত ডেথ বোলিং তখন হুমকি দিচ্ছে ম্যাচ বের করে নেওয়ার। কিন্তু পঞ্চম বলে দারুণ স্কুপে কারেনকে চার মেরে ম্যাচ শেষ করলেন তেওয়াতিয়া। পাঞ্জাব কিংসের দেওয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্য গুজরাট পেরিয়ে গেল ৬ উইকেট ও ১ বল বাকি থাকতে।
রান তাড়ায় ঋদ্ধিমান সাহা ও গিল ঝোড়ো শুরুই এনে দেন গুজরাটকে। পাওয়ারপ্লেতে ওঠে ৫৬ রান। প্রথম ৬ ওভারে পাঞ্জাব হারিয়েছিল ২ উইকেট, গুজরাট হারায় ১ উইকেট। পাওয়ারপ্লের পরের ৪ ওভারে ২৩ রান তুলতে আরও ১ উইকেট হারিয়েছিল পাঞ্জাব, তবে এ সময়ে ২৪ রান তুললেও উইকেট হারায়নি গুজরাট।
উইকেট ধরে রেখে শেষ পর্যন্ত যাওয়া গুজরাট খেলেছে এমন পুরোনো ধাঁচের টি-টোয়েন্টিই। তাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন গিল। ফিফটি করতেই তার লাগে ৪০ বল, ৪৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে মারেন মাত্র একটি ছক্কা। যদিও শেষ করে আসতে পারেননি তিনি। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৭ রান, কারেনের বোলিং তো পাঞ্জাবকে আশাও দিল। তবে সব শেষ করে দিলেন তেওয়াতিয়া।
এর আগে পাঞ্জাব টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে সেখানে। ৪ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনার প্রভসিমরান সিং ও ধাওয়ানকে হারিয়ে চাপে পড়ে পাঞ্জাব। যদিও পাওয়ারপ্লেতে ৬ ওভারে ঠিকই ৫২ রান তোলে দলটি।
ম্যাথু শর্টের ২৪ বলে ৩৬, জিতেশ শর্মার ২৩ বলে ২৫ বা স্যাম কারেনের ২২ বলে ২২ রানের ইনিংস পাঞ্জাবকে সেভাবে টানতে পারেনি মাঝের ওভারগুলোতে। সাতে নামা শাহরুখ খানের ৯ বলে ২২ রানের ক্যামিওতে শেষ পর্যন্ত দলটি ২০ ওভার ব্যাটিং করে যায় ১৫৩ রান পর্যন্ত।
এইচজেএস