তৃতীয় বিভাগে এক লাখ, অপেক্ষায় প্রিমিয়ার ক্লাবগুলো

আজ থেকে শুরু হয়েছে তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগ। এই লিগে অংশগ্রহণকারী ১৫ ক্লাব গত ২৭ মে অংশগ্রহণ ফি বাবদ ১ লাখ টাকার চেক ও পাঁচটি করে বল গ্রহণ করেছে। অন্য দিকে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিযোগিতা পেশাদার লিগ প্রায় শেষ পর্যায়ে থাকলেও এখনো অংশগ্রহণ ফি পায়নি ক্লাবগুলো। সপ্তাহ কয়েক আগে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোকে তিনটি করে বল দিয়েছে ফেডারেশন।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ। সেই লিগ ইতোমধ্যেই শেষও হলেও কোনো ক্লাব ফেডারেশন থেকে আর্থিক সাহায্য পায়নি। প্রিমিয়ার ও চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের একাধিক কর্মকর্তার ক্ষুব্ধ বক্তব্য, 'আমরা অনেক কষ্ট করে ক্লাব চালাই। ফেডারেশন থেকে এবার ন্যূনতম সহায়তাও পেলাম না।’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের তিন বছরের স্বত্ত্ব নিয়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছিল কে-স্পোর্ট, বাফুফে ও টি-স্পোর্টসের মধ্যে। চলতি মৌসুমের আগে কে-স্পোর্টস বাফুফের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে। চুক্তি বাতিল করার কারণ সম্পর্কে কে-স্পোর্টসের কর্ণধার ফাহাদ করিম বলেন, 'লিগে আমাদের স্পন্সর ছিল টি-স্পোর্টস। টি স্পোর্টসের আমাদের স্পন্সর করবে না জানায় এবং আমরা অন্য কোনো স্পন্সর না পাওয়ায় চুক্তি বাতিলের চিঠি দেই।’ বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, কে-স্পোর্টসকে পাশ কাটিয়ে বাফুফে সরাসরি বসুন্ধরা গ্রুপ থেকে স্পন্সরমানি এনেছিল।
কে-স্পোর্টস চুক্তি বাতিল করার পেছনে এটাও অন্যতম এক কারণ বলে জানা গেছে। কে-স্পোর্টস চুক্তি বাতিলের চিঠি দিলেও বাফুফে সেটি মানতে চায় না। মৌসুম শুরুর এক সপ্তাহ আগে সরে যেতে পারে না কে-স্পোর্টস এই দাবি করে বাফুফে ২ কোটি টাকা চেয়ে চিঠি দেয়। সেই চিঠি দিলেও বাফুফে এখনো সেই বাবদ কোনো অর্থ পায়নি বলে জানা যায়।
স্পন্সর জটিলতায় বাফুফে ক্লাবগুলোকে অংশগ্রহণ ফি দিতে পারছে না অন্যদিকে রেফারিদের বকেয়া বিলও বাড়ছে। লিগ কমিটির আহ্বায়ক ও ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক বলেন, 'আমরা ক্লাবগুলোকে অংশগ্রহণ ফি প্রদানের সর্বোচ্চ চেষ্টাই করছি। ইতোমধ্যেই ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান সালাম ভাইয়ের সঙ্গেও এ নিয়ে কথা হয়েছে।'
বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন প্রায় এক যুগ। সালাম মুর্শেদী গত মৌসুমের শুরুতে এই দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ায় ফেডারেশন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। ফেডারেশনের সর্বোচ্চ ব্যক্তি সভাপতি লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেয়ার পর ক্লাবগুলো একটু আশান্বিত হয়েছিল। তাদের সেই আশাভঙ্গ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্লাবের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, 'সালাম ভাই চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় আমরা অংশগ্রহণ ফি পেতাম। সভাপতি দায়িত্ব নেয়ার পর এখন পর্যন্ত কিছুই পেলাম না।'
আজ থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় বিভাগে খেলতে চেয়েছিল চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলা বাফুফের এলিট একাডেমী। তৃতীয় বিভাগের অন্য ক্লাবগুলো শুরু থেকে আপত্তি জানিয়ে আসছিল। এলিট একাডেমীর ফুটবলারদের সামনে আন্তর্জাতিক জুনিয়র প্রতিযোগিতা রয়েছে এজন্য বাফুফে সভাপতি তৃতীয় বিভাগে খেলার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। গত পরশু অবশ্য এলিট একাডেমীকে না নিয়েই লিগ শুরুর আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয় মহানগর লীগ কমিটি।
এজেড/এইচজেএস