কিপিং ছাড়ার সিদ্ধান্ত মুশফিককেই নিতে হবে

ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম যতটা সুনাম কুড়িয়েছেন, উইকেটরক্ষক হিসেবে ততটাই বিবর্ণ তিনি। উইকেটের পেছনে একাধিক রেকর্ডের মালিক হলেও প্রশ্ন আছে তার উইকেটরক্ষকের দায়িত্বের ধরণ নিয়ে। কিপিং করতে গিয়ে এমন কিছু দৃষ্টিকটু ভুল করে বসেন মুশফিক, যা ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় দলকে।
চলমান নিউজিল্যান্ড সিরিজেও ভুলের বা ক্যাচ মিসের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন মুশফিক। তাকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে ঢের। তবুও কিপিংয়ের দায়িত্ব ছাড়ছেন না তিনি। একাদশে আরও দুজন উইকেটরক্ষক থাকলেও গ্লাভস রাখছেন নিজের দখলেই। সিনিয়র হয়েও মুশফিকের এমন সিদ্ধান্ত কিভাবে দেখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড? বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন, কিপিং ছাড়ার সিদ্ধান্ত মুশফিকেই নিতে হবে।
শনিবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশ দলের সবাই কিন্তু জেতার জন্যই খেলে। মুশফিকও এর অংশ। সেও জেতার জন্যই খেলে। এই সিদ্ধান্ত (কিপিং ছাড়ার) নেওয়ার জন্য মুশফিকই সেরা ব্যক্তি, সে এখন কিপিং গ্লাভসটা তুলে রেখে ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেবে কি না, এ সিদ্ধান্তটা আমি ওর কাছেই রাখতে চাই।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানতে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের সুযোগ তৈরি করেছিল বটে, তবে খুব কাছে গিয়েও ম্যাচ হারতে হয়। সে ম্যাচে জিমি নিশামের সহজ ক্যাচ ছাড়েন মুশফিক, সেটি তালুবন্দি করতে পারলে হয়তো ঘুরতে পারতো ম্যাচের ভাগ্য। তৃতীয় ম্যাচেও একই ভুল মুশফিকের, ওপেনার হ্যানরি নিকোলসের ক্যাচ ছাড়েন তিনি।
নিউজিল্যান্ড ইনিংসের শেষ বলে ড্যারিল মিচেলের সেঞ্চুরি আটকাতে পারতেন মুশফিক। তবে সহজ রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করে কিউই ব্যাটসম্যানকে অভিষেক শতকের স্বাদ দেন। এরপরও কেন লিটন-মিঠুনদের হাতে গ্লাভস জোড়া তুলে দিচ্ছেন না মুশফিক?
জবাবে সুজন জানান, ‘এটা আমি ওভাবে আলাপ না করে বলতে চাই, ও খুব ভালো চিন্তা করে। বাংলাদেশ দলের জন্য চিন্তা করে, নিজের জন্য চিন্তা করে। এটা ও চিন্তা করবে যে, যেহেতু লিটন-মিঠুন আছে, আমার কিপিংটা আগের মতো হচ্ছে না, ওদের একজনকে গ্লাভসটা ছেড়ে দেব কি না। এটার সিদ্ধান্ত ও নিলেই সবচেয়ে ভালো হবে। একজন সিনিয়র ক্রিকেটার, সাবেক অধিনায়ক হিসেবে ওর তো অনেক দায়িত্ব আছে। তো এই দায়িত্ব থেকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আসলে।’
টিআইএস/এমএইচ