আবারও বাফুফের জরুরি সভা

এক সময় দীর্ঘ বিরতি দিয়ে অনুষ্ঠিত হতো বাফুফের নির্বাহী সভা। সাবিনা খাতুনরা অলিম্পিক বাছাই খেলতে মিয়ানমার যাত্রা বাতিল করার পর থেকেই ঘন ঘন নির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাধারণ নির্বাহী সভার চেয়ে জরুরি নির্বাহী সভাই বেশি অনুষ্ঠিত হয়েছে গত দুই মাসে।
গত ২৯ মে নারী ফুটবল নিয়ে জরুরি সভার পর আবার আগামীকাল (১৭ জুন) আরেকটি জরুরি সভার আহবান করা হয়েছে। কালকের সভাটি মূলত আর্থিক বিষয়ের ওপরই ডাকা হয়েছে বলে জানা গেছে। সামনে পুরুষ ও নারী দলের অনেকগুলো টুর্নামেন্ট, আসন্ন টুর্নামেন্টের পাশাপাশি চলমান প্রিমিয়ার লিগ ও সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের অংশগ্রহণ ফি ক্লাবগুলোকে এখনও দিতে পারেনি ফেডারেশন। এসব ইস্যু ও আর্থিক বিষয়ে মূলত আগামীকাল আলোচনা হতে পারে।
এসব আলোচনার মধ্যে বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলির বিষয়টিও উঠতে পারে। তার সঙ্গে এখনও এক বছরের চুক্তি রয়েছে বাফুফের। এর মধ্যেও তিনি বাফুফের কাছে বর্তমান পারিশ্রমিকের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করছেন। বাফুফের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি এবং পল স্মলির আচরণে ফেডারেশনের অনেক কর্মকর্তাই পলকে না রাখার পক্ষে। তবে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এখনও পলের দিকেই রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাফুফের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘আগে সভাই হতো না, ২-৩ জনই বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত নিতেন। আর এখন সাধারণ বিষয়েও জরুরি সভা হচ্ছে। সভা হচ্ছে কিন্তু কার্যকরী বাস্তবায়ন নেই।’
সভার সঙ্গে বাফুফের কর্মকাণ্ডের খুব একটা সামঞ্জস্য দেখা যায় না। ২৯ মে সভা শেষে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন জানিয়েছিলেন, ১০ জুন থেকে নারী ফ্রাঞ্চাইজ লিগ অনুষ্ঠিত হতে পারে। ডেডলাইন অতিবাহিত হওয়ার পরেও বাফুফে এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কবে হবে ওই লিগ। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ নিষিদ্ধ হওয়ার কয়েকদিন আগে এক সভা করেছিল বাফুফে। সেই সভা শেষে নারী ফুটবলের ঘাটতি বাজেট পূরণের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সোহাগ ফিফা থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ফুটবলাঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়। এরপর আর ওই বিষয়ে কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি।
এজেড/এএইচএস