হকির এশিয়াড মিশন শুরু

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে চীনের হাংজুতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান গেমস। এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে আজ থেকে এশিয়াড মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ হকি দল। ২০১৮ সালে জাকার্তা এশিয়ান গেমসে তারা ষষ্ঠ হয়েছিল। এবার লক্ষ্য অন্তত সেই স্থান ধরে রাখা।
এশিয়ান গেমসের জন্য প্রাথমিক দলে ৪০ জন খেলোয়াড়কে ডেকেছিল হকি ফেডারেশন। তাদের মধ্যে ৩৬ জন গতকাল বিকেলে রিপোর্টিং করেছেন। আজ সকাল-বিকেল দুই বেলা অনুশীলন হয়েছে। আরও কয়েকদিন পর যোগ দেবেন বিদেশি কোচ। তার আগপর্যন্ত দেশীয় তিন কোচ আশিকুজ্জামান, শহিদউল্লাহ টিটু ও রাসেল খান বাপ্পি হকি দলকে অনুশীলন করাবেন। তারা মূলত কাজ করবেন ফিটনেসের ওপর।
দীর্ঘদিন জাতীয় দলের গোলপোস্ট আগলে রেখেছেন বাপ্পি। গত কয়েক বছর বিভিন্ন দলে তিনি বিক্ষিপ্তভাবে কোচিং করিয়েছেন। এবারই প্রথম জাতীয় দলে কোচিং করানোর সুযোগ পেয়েছেন বাপ্পি। আজ প্রথমদিনের অনুশীলন করানোর অনুভূতি ব্যক্ত করলেন এভাবে, ‘দেশের হয়ে অনেকদিন খেলেছি। এবার ফেডারেশন সুযোগ দেওয়ায় জাতীয় দলেও প্রথমবারের মতো কোচিং করাচ্ছি। খেলোয়াড়ের মতো কোচ হিসেবেও দেশকে ভালো কিছু দিতে চাই।’
জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে তরুণদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনুশীলন করছেন হকির সুপারস্টার রাসেল মাহমুদ জিমি। ২০১৪ সালে ইনচোন এশিয়ান গেমসে খেলতে পারেননি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকায়। আজ সকালে বিপ টেস্ট হয়েছে, সেখানে ভালোই ফলাফল হয়েছে জিমির। চতুর্থ গেমসে খেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তত এই হকি তারকা, ‘ফর্ম ও ফিটনেস যতদিন থাকবে ততদিন খেলে যাব।’
জিমি-আশরাফুলরা একেকজন একেক জার্সিতে এশিয়ান গেমসে অনুশীলন করছেন। তিন দেশীয় কোচের মধ্যে একজনকে দেখা গেল মোহামেডানের জার্সিতে এবং বাকি দুজন সাধারণ টি-শার্টে। তবে খুব শিগগিরই ফেডারেশন খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের জার্সি প্রদান করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ও এশিয়ান গেমসের শেফ দ্য মিশন একে সরকার বাস্কেটবল দল নিয়ে মালদ্বীপে রয়েছেন। এশিয়ান গেমসের সামগ্রিক প্রস্তুতি নিয়ে মালদ্বীপ থেকে তিনি বলেন, ‘আরচ্যারি এবং শ্যুটিংয়ে আগে থেকেই অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে। সাঁতার এবং অ্যাথলেটিক্স খেলোয়াড়রাও করছে অনুশীলন। অন্যান্য ডিসিপ্লিনও প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করবে। প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।’
এজেড/এএইচএস