রোনালদো রেগে গেলেন কেন?

ম্যাচের তখন একেবারে শেষ মুহূর্ত। পর্তুগাল-সার্বিয়ার সমতা ২-২ এ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো কিনা মাঠ ছেড়ে যাচ্ছেন রেগেমেগে, অধিনায়কের বাহুবন্ধনী মাটিতে ছুঁড়ে! এমনটা অবশ্য বিস্ময়কর নয়!
রোনালদো রাগবেনই না কেন? দল এগিয়ে গিয়েছিল ২-০ গোলে। এরপর সার্বিয়ার দারুণ প্রত্যাবর্তন। তবু শেষ মুহূর্তে রোনালদো একটা চেষ্টা করেছিলেন। সতীর্থের বাড়ানো বল বক্সে পেয়ে যায় তাকে। এরপর পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বলটা বাড়িয়ে দেন গোলমুখে।
পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল বলটা পেরিয়ে গেছে গোলরেখা। এরপর আলেকজান্ডার মিত্রোভিচের ক্লিয়ার, রেফারি জানালেন গোল হয়নি! অথচ রোনালদো উদযাপনও শুরু করে দিয়েছিলেন ততক্ষণে, সিদ্ধান্ত জানার পরই রেগেমেগে পর্তুগাল অধিনায়ক ছেড়ে যান মাঠ। এর আগে করেছেন একদফা প্রতিবাদ। দেখেছেন হলুদ কার্ডও।
শুরুর ছন্দটা ধরে রাখতে পারলে হয়তো এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের। ডিয়েগো জোটার জোড়া গোল দলকে এগিয়ে দিয়েছিল দুই গোলে। এরপর মিত্রোভিচ আর কস্তিচের গোলে সমতায় ফেরে সার্বিয়া।
এরপরই রোনালদোর সেই ঘটনা। ম্যাচ শেষে ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রামে লিখলেন, এ ক্ষতি পুরো জাতির! এ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর আশাবাদও অবশ্য ব্যক্ত করেছেন তিনি।
ক্ষোভ ঝরেছে কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের কণ্ঠেও। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের মতো ম্যাচে কেন ভিএআর কিংবা নিদেনপক্ষে গোললাইন টেকনোলজি থাকবে না কেন সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। এই ড্রয়ের পর দুই ম্যাচ শেষে ইউরোপীয় অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে আছে পর্তুগাল আর সার্বিয়া।
এনইউ/এটি