বাফুফের আলোচিত প্রধান অর্থ কর্মকর্তার পদত্যাগ

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন গত কয়েক বছর ধরেই নানা খবরের শিরোনাম। এর প্রায় সবই অর্থকেন্দ্রিক। এবার আলোচনা বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেনের পদত্যাগ।
বাফুফের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গেল ৫ জুন আবু হোসেন পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। এই ব্যাপারে আবু হোসেনের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য অবশ্য পাওয়া যায়নি। আবু হোসেনের স্থলাষিভিক্তির জন্য ইতোমধ্যে বাফুফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বাফুফের প্রধান কর্মকর্তা চেয়ে চাকরির বাজারে সর্বাধিক পরিচিত ওয়েবসাইট বিডিজবসে আজই বিজ্ঞাপন দিয়েছে বাফুফে।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ ফিফা থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। আর্থিক অসঙ্গতির বিষয়ে বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেনও ফিফার কাছ থেকে চিঠি পেয়েছিলেন। আবু নাইম সোহাগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর বাফুফে একটি অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি একাধিকার আবু হোসেনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে।
তদন্ত রিপোর্ট নির্বাহী কমিটির কাছে পেশ হওয়ার আগেই আবু হোসেন পদত্যাগ করেছেন। আবু হোসেনের সপ্তাহ দেড়েক পর পদত্যাগপত্র দিয়েছেন অপারেশন্স ম্যানেজার মিজান। যদিও তিনি কোনো পদত্যাগপত্র দেননি বলে জানিয়েছেন। আবু ও মিজানের পদত্যাগপত্র নিয়ে ফুটবল ফেডারেশনে চলছে নানা আলোচনা।
কাজী সালাউদ্দিন বাফুফে সভাপতি হওয়ার পরই আবু বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। প্রায় ১৪ বছরের বেশি সময় তিনি বাফুফের হিসাব-নিকাশ সামলেছেন। গত দুই বছরে ছুটির চেয়ে অতিরিক্ত সময় দেশের বাইরে থাকায় সমালোচনার মধ্যে ছিলেন আবু। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের মতো প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবুও ছিলেন সালাউদ্দিনের ঘনিষ্ঠজন। ফুটবল ফেডারেশনে অনেক বিষয়ে দুই আবুর প্রভাব ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ের। বাফুফে স্টাফদের (বিদেশি ছাড়া) মধ্যে তারা দুই জনই সর্বোচ্চ সম্মানি পেতেন।
এফআই