ছোট মাঠের ফায়দা তুলেছে নিউজিল্যান্ড

ডানেডিন, ক্রাইস্টচার্চ, ওয়েলিংটের পর হ্যামিল্টন। কোথাও ভাগ্য ফেরাতে পারছে না বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে হারের বৃত্ত থেকে বের হওয়া হচ্ছে না। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি, ফরম্যাট বদলালেও বদলাচ্ছে না ম্যাচের ফলাফল। বার-বারই জয়ী দলের নাম নিউজিল্যান্ড। ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হয় হ্যামিল্টন শহরের সেডন পার্কে। আকৃতিতে ছোট মাঠটির ফায়দা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে স্বাগতিকরা, মনে করেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন। বড় স্কোর গড়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে ৬৬ রানে।
ম্যাচ হারের পর নিউজিল্যান্ড থেকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশ দলের তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য আমার মনে হয় উইকেটটা ভালোই ছিল। কারণ সোজাসুজি মাঠটা ছোট ছিল। ব্যাটসম্যানদের পক্ষে ছিল যে জিনিসটা, ওদের ব্যাটসম্যানরা মাঠের সুবিধাটা বেশ ভালোভাবে নিতে পেরেছে। আমরা আরও ভালো ব্যাটিং করতে পারতাম হয়তো।’
সেডন পার্ক স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের হাতের তালুর মতো চেনা। সে ফায়দা কাজে লাগিয়েছে তারা। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে স্কোর বোর্ডে জমা করে ২১০ রান। মাঠ ছোট হলেও সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। ১৪৪ রানে তুলতে পারে শেষমেশ। এতে ম্যাচ হারতে হয় ৬৬ রানের ব্যবধানে।
আফিফ জানান, ‘মাঠের সাইজ যেহেতু ছোট ছিল এ ধরনের স্কোর অবশ্যই তাড়া করা সম্ভব ছিল বলে আমার মনে হয়। আমাদের ব্যাক টু ব্যাক উইকেটগুলো না পরলে হয়তো এই রান আমরা তাড়া করতে পারতাম। নাইম শেখ ভালো একটা শুরু করেছিল। তাছাড়া অভিষেক হয়েছে দু’জনের। নাসুম খুব ভালো বল করেছে। মোটামুটি ম্যাচে অনেকগুলো ইতিবাচক দিকও ছিল। যেগুলো আশা করি সামনের ম্যাচে আমাদের সাহায্য করবে।’
টিআইএস/এনইউ/এটি