রাকিবের গোলে বাংলাদেশের সমতা

বল পজেশন, আক্রমণ সব কিছুতেই এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। লেবাননের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের ভুলে হারের পর মালদ্বীপের সঙ্গে আজ কার্যত বাঁচা-মরার ম্যাচে ইতিবাচক শুরুই পেয়েছিল জামাল ভূঁইয়ারা। তবে কাউন্টার অ্যাটাকে ম্যাচের ১৭ তম মিনিটে উল্টো গোল হজম করে বসে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। প্রথমার্ধের শেষদিকে খেলায় সমতা আনেন রাকিব। ব্যাঙ্গালোরের শ্রী কান্তেরাভা স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধ শেষে ম্যাচের স্কোরলাইন ১-১।
গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ ছিল ম্যাচে। প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই তিনটি কর্নার আদায় করেন জামালরা। তবে গোল আদায় করতে পারেনি হাভিয়ের ক্যাবরেরা শিষ্যরা।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে একটা জোরালো শট নেন মালদ্বীপের ফরোয়ার্ড হামজা মোহাম্মদ। ডিফেন্ডারদের এবং গোলরক্ষক জিকোকে পরাস্ত করে সেই বল জালে প্রবেশ করে।
পিছিয়ে পড়ার পর কয়েক মিনিট বাংলাদেশ অপরিকল্পিত ফুটবল খেলে। তবে মিনিট দশেক পর আবারও ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে নেন জামালরা। বিশেষ করে ৩৫ মিনিটে কর্নার থেকে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। সোহেল রানার কর্নারে বক্সের মধ্যে তপু বর্মণ লাফিয়ে হেড করেন। তপুর হেড মালদ্বীপের ডিফেন্ডার গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন। সেই ক্লিয়ারের সময় বলটি তাদের আরেক সতীর্থের হাতে লাগার পর গোলরক্ষক গ্রিপে নেন। বাংলাদেশের ফুটবলাররা পেনাল্টির আবেদন করেছিলেন কিছুক্ষণ।
রেফারি সেই আবেদন গ্রাহ্য না করলেও এর মিনিট পাঁচেক পরেই ম্যাচে সমতা আনে বাংলাদেশ। বেশ কয়েকটি লম্বা থ্রো করেছিলেন ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। ৪২ মিনিটে লম্বার পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত থ্রো নেন। সেই থ্রো থেকে সোহেল রানা বক্সে তপুর উদ্দেশে ক্রস দেন। তপু হেডে ফাঁকায় দাঁড়ানো রাকিবের উদ্দেশে বল বাড়ান। রাকিব হেডে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি। প্রথমার্ধের বাকি সময়ও বাংলাদেশ গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল।
বল পজেশন, আক্রমণ সব কিছুতেই বাংলাদেশ প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল। মালদ্বীপ আচমকা শটে গোল করা ছাড়া তেমন সংঘবদ্ধ আক্রমণ করতে পারেনি।
এজেড/এফআই