উপভোগ নয়, ফাইনাল খেলতে চাই: ক্যাবরেরা

বাংলাদেশে চলছে ঈদের ছুটি। দেশে ঈদের আমেজ থাকলেও ভারতের ব্যাঙ্গালোরে চলছে সাফের ফাইনালে উঠার যুদ্ধ। আগামীকালই টুর্নামেন্টের দুই সেমিফাইনাল। সেমিফাইনালের আগের দিন চার দলের চার কোচ-অধিনায়ক ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছে বাংলাদেশকে দিয়ে। বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ও অধিনায়ক জামাল ভূইয়া নিজেদের প্রত্যাশা ও সামর্থ্যরে পাশাপাশি দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তরই দিয়েছেন। প্রায় ২০ মিনিট দৈর্ঘ্যরে সংবাদ সম্মেলনের সারাংশ, ‘ফাইনাল খেলতে চায় বাংলাদেশ’।
কুয়েতকে হারিয়ে ফাইনাল খেলা বেশ কষ্টসাধ্য। এটা জানা রয়েছে বাংলাদেশের কোচ এবং অধিনায়কের। এরপরও তাদের স্পষ্ট কথা, 'আমরা ফাইনালের জন্যই আগামীকাল মাঠে নামব।’ বাংলাদেশের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল সাফের সেমিফাইনাল খেলা। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। কালকের ম্যাচে বাংলাদেশের অ্যাপ্রোচ নিয়ে প্রশ্নে কোচ হ্যাভিয়েরের উত্তর, 'অবশ্যই সেমিফাইনাল আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল। সেটা পূরণ হওয়ায় আগামীকাল আমরা শুধুই ম্যাচ উপভোগ করতে নামব না। আমাদের লক্ষ্য এখন ফাইনাল নিশ্চিত করা।'
কুয়েত গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে নয় গোল করেছে। কুয়েতের ফরোয়ার্ড লাইন অত্যন্ত শক্তিশালী। ম্যাচটির আভ্যন্তরীণ লড়াইটা কুয়েতেরে ফরোয়ার্ড বনাম বাংলাদেশেল ডিফেন্সেরও। এ নিয়ে কোচের মন্তব্য, 'আমরা প্রতি ম্যাচের আগেই প্রতিপক্ষ নিয়ে বিশ্লেষণ করি। আমরা জানি তারা শক্তিশালী দল। আমরা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।’
বাংলাদেশ গত দুই ম্যাচ জিতেছে এবং ছয় গোল করেছে। দুই ম্যাচেই প্রথমে গোল হজম করেছে। সেমিফাইনালে আগে গোল হজম না করার দিকে বিশেষ খেয়াল থাকবে কোচের, 'এই বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করব প্রথমে গোল হজম না করার।'
বাংলাদেশ গত পরশুই ম্যাচ খেলেছে। কুয়েতের তুলনায় রিকভারি সময় কম পেয়েছে। তাই সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে রিকভারির বিষয়টি উথাপন করলেন কোচ, 'গতকাল আমাদের সারাদিন রিকভারি ছিল। আজ অনুশীলন রয়েছে রিকভারি নিয়েও কাজ হবে।’
এজেড/এইচজেএস