অটোপাস গোলরক্ষক রানা

কোচ জেমি ডে নেপাল টুর্নামেন্টে এসেছিলেন খেলোয়াড়দের পরখ করতে। ২৩ জনের মধ্যে তিনি ২২ জন ফুটবলারকেই পরীক্ষা করে দেখেছেন। একমাত্র গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে মাঠে নামাননি। রানা জেমির পরীক্ষাগারে অনেকটা ‘অটোপাস’ হয়েছেন।
অটোপাসের বিষয়টি রানার সামনে উত্থাপিত করতেই হাসি দেশের অন্যতম সেরা এই গোলক্ষকের, ‘আসলে কোচ সবাইকে দেখতে চেয়েছেন। ইতোমধ্যে দেখেছেনও। একমাত্র আমাকে খেলাতে পারেননি। খেলাতে না পারলেও কোচ সব সময় আমার সাথে আলোচনা করেছেন।’
নেপালে তিনজন গোলরক্ষক এনেছেন জেমি। আনিসুর রহমান জিকো, আশরাফুল ইসলাম রানা ও শহিদুল আলম সোহেল। টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচে জেমি ডে জিকো ও সোহেলকে খেলিয়েছেন। রানা গ্লাভস হাতে বসে ছিলেন টুর্নামেন্ট জুড়ে। নেপালের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন শেষে কোচ রানার সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেছেন। জেমি কি বলছিলেন অভিজ্ঞ গোলরক্ষককে? এ প্রসঙ্গে রানা বলেন, ‘জেমির সঙ্গে আমি কয়েকবছর কাজ করছি। মাঝে সোহেল ছিল না। এজন্য সে সোহেল ও আমার ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করছিল।’
রানা রিজার্ভ বেঞ্চে বসে তিনটি ম্যাচই দেখেছেন। তিন ম্যাচ দেখে তার পর্যবেক্ষণ, ‘প্রথম দুই ম্যাচ দুই একাদশ খেলিয়েছেন কোচ। দুই ম্যাচেই ভালো খেলেছে। সেই ধারাবাহিকতা থাকলে ফাইনালে হয়তো আমরা চ্যাম্পিয়ন হতাম।’ খেলোয়াড়দের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মানসিকতা থাকলেও কোচের ট্রফির দিকে আকর্ষণ নেই। এই প্রসঙ্গে দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ফুটবলার বলেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চেয়েছিলাম। কোচও খুশি হতেন চ্যাম্পিয়ন হলে, তবে তার লক্ষ্য ছিল সব খেলোয়াড়কে সমানভাবে দেখা।’
কোচ মিডিয়ার সামনে বলছিলেন ট্রফি নয়, নিজ দলের খেলোয়াড়দের দেখতে এসেছেন। কিন্তু ফাইনাল শেষে ড্রেসিংরুমে ফুটবলারদের অনেক বকাঝকা করেছেন। ড্রেসিংরুমের কোচের উত্তপ্ততার কারণ সম্পর্কে রানা বলেন, ‘কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা খেলতে পারিনি। সেটপিস, আরো কিছু বিষয় ছিল, সেখানে আমরা ভুল করেছি।’
এজেড/টিআইএস