সিলেটে টিকিটের জন্য হাহাকার
বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দর্শকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয়লাভের পর দ্বিতীয় ম্যাচে আজ স্টেডিয়ামের মেইন গেইটের টিকিট কাউন্টারসহ পুরো স্টেডিয়ামের আশেপাশে টিকিটের জন্য হাহাকার চলছে।
সরেজমিনে আজ বিকালে সিলেট স্টেডিয়ামের মেইন গেট সংলগ্ন টিকেট কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেল গ্রান্ড স্ট্যান্ড ছাড়া আর কোনো গ্যালারির টিকিট নেই। দুপুরের আগ থেকেই সাধারণ দর্শকরা ক্রয় করে নিয়েছেন ক্লাব হাউস, ইস্টার্ন গ্যালারি, ওয়েস্টার্ন গ্যালারি এবং গ্রিন হিল এরিয়ার টিকিট। টিকিট কাউন্টারে দর্শকদের লাইনও ছিল বেশ লম্বা। অবশ্য এ জন্য দর্শকরা দায়ী করেছেন টিকিট কালোবাজারিদের।
খেলা দেখতে আসা সিলেটের গোলাপগঞ্জ এলাকার লন্ডন প্রবাসী জুবায়ের আহমদ রাজু ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রথম ম্যাচে আমি সিলেটের বাইরে ছিলাম। তাই খেলা দেখতে আসতে পারিনি। গতকাল থেকে টিকিটের জন্য অনেক খোঁজাখুঁজি করে আজ বিকেল সাড়ে চারটায় কালোবাজারিদের কাছ থেকে ৫টি ক্লাব হাউজের টিকিট কিনেছি। ৫০০ টাকার ৫টি টিকিট ৪ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। তাও ভালো যে বাংলাদেশের খেলা দেখতে পারছি।
টিকিটের জন্য এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছিলেন দন্ত চিকিৎসক নাসির নেওয়াজ। আগে থেকে দুটি টিকিট তিনি সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু খেলা দেখতে আসার আগ মুহূর্তে তার ভাতিজি বায়না ধরে খেলা দেখার জন্য। পরবর্তীতে স্টেডিয়ামের বাইরে দুই টিকিট নিয়ে তিনজন অপেক্ষা করছিলেন যে কোনোভাবে যদি আরেকটি টিকিট ম্যানেজ করতে পারেন তাহলে তিনজন মিলেই মাঠে খেলা দেখতে পারবেন।
শেষমেশ পরিচিত এক আত্মীয়ের মাধ্যমে টিকিট ম্যানেজ করে খেলা দেখতে গ্যালারিতে প্রবেশ করেন। গ্যালারিতে প্রবেশ করেই ধন্যবাদ দিলেন তার সেই আত্মীয়কে যিনি টিকিট দিয়ে তাকে সহায়তা করেছেন। বললেন কপাল ভালো, না হলে স্ত্রী ও ভাতিজিকে মাঠে প্রবেশ করিয়ে নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হতো।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া ইনচার্জ ফরহাদ কোরেশি বলেন, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৮ হাজারের অধিক দর্শক ধারণক্ষমতা রয়েছে। আমরা গ্রীন হিল এরিয়ায় নিরাপত্তার জন্য কিছু টিকিট কম ছাড়ি। আর সিলেটের দর্শকদের চাহিদা অনুপাতে টিকিট দেওয়া সম্ভবপর নয়। কারণ এখানে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে খেলা দেখার আকাঙ্ক্ষা বেশি থাকে। আর কালোবাজারি সম্পর্কে তিনি বলেন,এসব বিষয়ে বিসিবি সবসময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা (সন্ধ্যা পৌনে সাতটা) পর্যন্ত মাঠের সবগুলো প্রবেশ পথেই ছিলো দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়। যদিও বৃষ্টি এসে সামান্য বাগড়া দিয়েছে দর্শকদের।
মাসুদ আহমদ রনি/এফআই