সিলেট স্টেডিয়াম হাউজফুল
ক্লাব হাউজ থেকে গ্রীণ হিল এরিয়া, গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড থেকে সাধারণ গ্যালারি। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কোনো প্রান্তের একটিও সিটও ফাঁকা নেই। রেকর্ড পরিমাণ দর্শকদের ঢলে পুরো সিলেট স্টেডিয়াম কানায় কানায় পরিপূর্ণ।
আফগানিস্তানের সঙ্গে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়লাভের পর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচের পর এই ম্যাচেও সিলেটের ক্রীড়ামোদী দর্শকদের আগ্রহ আরও বেশি দেখা যাচ্ছে।
ম্যাচের লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে
সরেজমিনে দেখা যায়, রোববার (১৬ জুলাই) বিকেল থেকে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা, আম্বরখানা, হাউজিং এষ্টেট,বাদামবাগিচা,মজিমদারি, বড়বাজার, চৌকিদিঘী এলাকায় বিপুল সংখ্যক গাড়ি, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন নিয়ে স্টেডিয়ামমুখী হতে থাকেন দর্শকরা। বেশিরভাগ দর্শকরা মাঠে প্রবেশ করেন খেলা শুরুর আগেই।
গত ম্যাচে খেলা দেখে দ্বিতীয় ম্যাচেও খেলা দেখতে এসেছেন সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলার তাজপুরের বাসিন্দা জাবেদ আহমদ। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, আমি গত ম্যাচেও খেলা দেখেছি। এই ম্যাচেও খেলা দেখতে এসেছি বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের জন্য। সামনে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের জন্য এখন প্রতিটি ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন যত বেশি জয় হবে। ততো আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
সিলেটে টিকিটের জন্য হাহাকার করা দিনে দলবল নিয়ে মাঠে হাজির হয়েছেন সিলেট নগরীর হাফিজ আহমদ। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের প্রত্যাশা বাংলাদেশের জয়। বাংলাদেশ জয়ী হলে টিকিট প্রাপ্তির কষ্টটা লাঘব হয়ে যাবে। আমরা ৯ জন আজ একসঙ্গে মাঠে এসেছি। অনেক কষ্টে প্রায় ৪ ঘন্টা খোঁজাখুঁজি করে টিকিট পেয়েছি। জয় নিয়েই বাড়ি ফিরতে চাই। টাইগাররা জিতে গেলে জিতে যায় বাঙ্গালী।
আজও গত দিনের মত টসে জয়লাভ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। আফগানিস্তানের ব্যাটিং চলাকালে বৃষ্টির হানায় কিছুক্ষণ ম্যাচ চলাচল বন্ধ থাকে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া ইনচার্জ ফরহাদ কোরেশি বলেন, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৮ হাজারের অধিক দর্শক ধারণক্ষমতা রয়েছে। আমরা গ্রীন হিল এরিয়ায় নিরাপত্তার জন্য কিছু টিকিট কম ছাড়ি। আর সিলেটের দর্শকদের চাহিদা অনুপাতে টিকিট দেওয়া সম্ভবপর নয়। কারণ এখানে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে খেলা দেখার আকাঙ্ক্ষা বেশি থাকে। আর কালোবাজারি সম্পর্কে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে বিসিবি সবসময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
মাসুদ আহমদ রনি/এফআই