‘খেলাটা সবাই দেখেছেন, এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না’

ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে শুক্রবার ভারতের কাছে ৫১ রানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ দল। ভারতের দেওয়া ২১২ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা স্বপ্নের মতোই শুরু করেন টাইগার ওপেনার নাঈম শেখ ও তানজিদ হাসান তামিম। তবে সেই উড়ন্ত সূচনা থেমে যায় দলীয় ৭০ রানেই।
এসময় ব্যক্তিগত ৩৮ রানে নাঈমের ফেরার পর ফিরে যান অর্ধ-শতক করা তামিমও। এরপরের গল্প শুধুই ব্যাটিং ব্যর্থতার। সাইফ হাসান-জাকির হাসানরা করেছেন কেবল ভক্ত-সমর্থকদের হতাশ। ম্যাচে সৌম্য সরকারের আউট নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এছাড়া দিনের শুরুতেও ছিল আকবর আলির করা স্ট্যাম্পিং আউট না দেওয়া নিয়ে সমালোচনা।
ম্যাচ শেষে দলের সঙ্গে থাকা হাবিবুল বাশারকে আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, ‘সবাই দেখেছেন। বলার মতো তেমন কিছু নেই। সবাই জানেন আজ কি হয়েছে। আমি আসলে এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। আমি যেখানে দাঁড়িয়ে, সেখান থেকে মন্তব্য করা যায় না।’
বাশার আরও যোগ করে বলেন, ‘আমরা ওদের সুযোগ দিয়েছি ম্যাচে ফিরে আসার। একইসঙ্গে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত যদি দেখেন, সেগুলো যদি আমাদের পক্ষে যেত, তাহলে ম্যাচের চেহারাটা অন্য রকম হতো। সৌম্য ও জাকির যদি আউট না হতো, তাহলে ম্যাচটা এই পর্যন্ত আসতো না। কিন্তু আমাদের শেষ করে আসা উচিত ছিল।’
বাশারের মতে এই ম্যাচ হারার কোনো কারণ ছিল না, ‘ওদের ২১১–তে অলআউট করেছি, এরপর ওপেনিংয়ে আমাদের ভালো শুরু হয়েছে। সেখান থেকে আসলে…কঠিন উইকেট অবশ্যই। কিন্তু আমরা রান করে ফেলেছিলাম। কখনোই চাপ ছিল না। সেখান থেকে অলআউট হয়ে যাওয়াটা ভালো কিছু নয়। আমরা হয়তো একটু প্যানিক করেছি। আইডিয়াল উইকেট ছিল না। তবে এমন নয় যে খেলা যাবে না। যদি উইকেট না পড়ত, তাহলে পরের দিকে আমাদের জন্য খেলাটা অনেক সহজ হয়ে যেত। একটি-দুইটি উইকেট পড়ার পর আমরা জুটি গড়তে পারিনি।’
এই ইমার্জিং দল থেকে কিছু খেলোয়াড় নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করা হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকের ম্যাচটা সম্পূর্ণ আমাদের ভাবনার বাইরে গেছে। আমরা আমাদের প্রত্যাশা মতো খেলতে পারিনি। বোলিংটা ভালো হয়েছে। ব্যাটিংটা ভালো হয়নি ওপেনিং জুটি ছাড়া। কিন্তু পুরো টুর্নামেন্টে যদি দেখেন, ছেলেরা খারাপ খেলেনি। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে যে কিছু পাইনি, তা নয়। হ্যাঁ, ফাইনালে যেতে চেয়েছিলাম, চ্যাম্পিয়ন হতে চেয়েছিলাম। সেটা হয়নি। সেটা আমাদের ব্যর্থতা। কিন্তু কিছু খেলোয়াড় দেখেছি, তাদের নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করা যাবে।’
এসএইচ/এফকে