শ্রীলঙ্কাকে লজ্জায় ডুবিয়ে পাকিস্তানের রেকর্ডগড়া জয়

শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শেষ পেরেকটা ঠুকলেন নাসিম শাহ। তরুণ এই পাক পেসারের ইয়র্কারের কোনো জবাব ছিল না দিলশান মধুশাঙ্কার কাছে। এর আগে নোমান আলির ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয়েছে লঙ্কান ব্যাটিং অর্ডার। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে স্বাগতিকদের প্রথম ৭ উইকেটই তার দখলে গেছে। আব্দুল্লাহ শফিক, আগা সালমানদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে প্রতিপক্ষ শিবিরে ত্রাস ছড়িয়ে রেকর্ড গড়া জয় তুলে নিল পাকিস্তান।
গল টেস্ট জয়ের মধ্য দিয়ে সাদা পোশাকে দীর্ঘ এক বছরের জয়খরা ঘুচিয়েছিল বাবর আজম বাহিনী। গল টেস্টের পর কলম্বোতেও দাপট ধরে রাখল সফরকারীরা। কলম্বো টেস্টের চতুর্থ দিনে শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস ও ২২২ রানে হারাল পাকিস্তান।
পরিসংখ্যান বলছে, লঙ্কানদের বিপক্ষে এটিই পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় জয়। আগেরটি ছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৯৯৯ সালে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে, ইনিংস ও ১৭৫ রানে।
প্রথম ইনিংসে ১৬৬ রানে থামে স্বাগতিকরা। এরপর ব্যাট করতে নেমে আব্দুল্লাহ শফিকের ডাবল সেঞ্চুরি ও আগা সালমানের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ৫৭৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। ৩২৬ বলে ২০১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন শফিক। ২০২১ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত তিনটি সেঞ্চুরি আছে তার নামের পাশে। সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ১৬০ রান। কলম্বোয় নিজের আগের রেকর্ডই ভাঙলেন এই ব্যাটার।
এছাড়া ১৫ চার ১ ছক্কায় অপরাজিত ১৩২ রানের ইনিংস খেলেছেন আগা সালমান। অপরদিকে সৌদ শাকিল ৫৭ আর শান মাসুদ ৫১ রান করেন। এতে পাকিস্তানের লিড হয় ৪১০ রানের। অন্যদিকে, ব্যাাট হাতে প্রথম ইনিংসে পুনরাবৃত্তি ঘটান লঙ্কান ব্যাটাররা। বাঁহাতি স্পিনার নোমান আলীর দাপটে তারা অলআউট হয় মাত্র ১৮৮ রানে।
লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করে অপরাজিত থাকেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। এছাড়া আর কেউ অর্ধশতকের দেখা পাননি। অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ এবং অপর ওপেনার নিশান মাদুশাঙ্কা করেন ৩৩ রান। পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে ৭০ রানে ৭ উইকেট নেন নোমান। বাকি তিনটি নিয়েছেন নাসিম শাহ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১৬৬
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৫৭৬/৫ ডিক্লে. (আব্দুল্লাহ শফিক ২০১, সালমান ১৩২*, রিজওয়ান ৫০*; আসিথা ২৫-১-১৩৩-৩, মাদুশঙ্কা ১৭-৩-৭৭-০, রমেশ ৩৬-২-১৩৯-০, জয়াসুরিয়া ৫৩-১১-১৯৪-২, ধনাঞ্জয়া ৩-১-১৩-০)
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ৬৭.৪ ওভারে ১৮৮ (মাদুশকা ৩৩, করুনারত্নে ৪১, মেন্ডিস ১৪, ম্যাথিউজ ৬৩*, চান্দিমাল ১, ধনাঞ্জয়া ১০, সামারাবিক্রমা ৫, রমেশ ১৬, প্রবাথ ০, আসিথা ০, মাদুশঙ্কা ০; আফ্রিদি ১২-৫-৩০-০, নাসিম ১৭.৪-৫-৪৪-৩, আবরার ১০-১-৩৪-০, নোমান ২৩-৮-৭০-৭, সালমান ৫-১-৬-০)
ফল: পাকিস্তান ইনিংস ও ২২২ রানে জয়ী
সিরিজ: দুই টেস্টের সিরিজ ২-০ তে জিতেছে পাকিস্তান।
ম্যান অব দা ম্যাচ: আবদুল্লাহ শফিক
ম্যান অব দ্য সিরিজ: আগা সালমান
এফআই