উচ্ছ্বসিত পদকপ্রাপ্তরা

তারকা ক্রীড়াবিদদের মেলা বসেছে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে। সাবেক-বর্তমান ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকে মুখরিত হলরুম। যেখানে ১০ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার। এই সময় পদকপ্রাপ্তরা উচ্ছ্বসিত অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।
ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ পদক জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। সেই পদক ১৯৯৬ সালেই পেয়েছেন আব্দুস সাদেক। ২৭ বছর পর আজ (শনিবার) পেলেন আজীবন সম্মাননা। আজকের পদকটিকে কিছুটা এগিয়ে রাখলেন সাদেক, ‘দুটি পুরস্কারই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে গ্রহণ করেছি। এই পুরস্কারটি শেখ কামালের নাম হওয়ায় এটা আমার কাছে বিশেষ। কারণ আবাহনীর প্রথম ফুটবল দলের অধিনায়ক আমি। ফলে শেখ কামালের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি।’
দেশের ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকদের কামালের আদর্শ ধারণের আহ্বান সাদেকের, ‘আজ যেসব তরুণ এই পদক পেলেন তারা কামাল সম্পর্কে জানবে এবং অনুপ্রাণিত হয়ে জীবনধারণ করবে এই প্রত্যাশা করি।’
আরও পড়ুন >> শেখ কামাল ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন ১০ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠান
উদীয়মান ক্রীড়াবিদ হিসেবে পুরস্কার পাওয়া টিটি (টেবিল টেনিস) খেলোয়াড় মোহতাসিন হৃদয় এটিকে অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন, ‘এটা আমার জন্য দারুণ প্রাপ্তি। যা ক্যারিয়ারে আরও ভালো খেলতে সহায়তা করবে।’
জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। গত বছর তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। যার স্বীকৃতি পেয়ে সাবিনা বলেন, ‘এর আগেও অনেক পুরস্কার পেয়েছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেও পুরস্কার গ্রহণ করেছি। কিন্তু আজকের পুরস্কার সকল কিছুর ঊর্ধ্বে।’
সাবেক ক্রিকেটার আতহার আলী খান ধারাভাষ্যকার হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলাদেশে ধারাভাষ্যকারদের স্বীকৃতি এবারই প্রথম। তাই আতহার আলীর কণ্ঠে এখন ভিন্ন অনুভূতি, ‘ক্রিকেট মাঠে যেমন লড়াই করেছি, তেমনি কমেন্ট্রি বক্সেও। এই স্বীকৃতি অন্যদের ধারাভাষ্যে আসার জন্য অনুপ্রাণিত করবে। তামিম ইকবালের মতো খেলোয়াড়রা ধারাভাষ্যে আসতে পারে।’
হকির ফজলু সংগঠক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার সময় দোয়া চেয়েছেন তিনি, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে দোয়া চেয়েছি যেন হকির জন্য আরেও কাজ করতে পারি।’
এজেড/এএইচএস