বৃষ্টির পেটে ম্যাচ, আক্ষেপে পুড়ছেন দর্শকরা

'ভাই বৃষ্টি না হলি ম্যাচটা কিন্তু জিততাম আমরাই'-প্রথম ওয়ানডে পরিত্যক্ত হওয়ার পর মাঠ ছাড়তে ছাড়তে আক্ষেপ নিয়েই বলছিলেন খেলা দেখতে আসা একজন। মাহমুদউল্লাহ-তামিমের ব্যাটিং দেখতে না পারার হতাশার কথাও শোনা গেল কারও কারও মুখে । সব মিলিয়ে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে প্রাপ্তির খাতা বলতে গেলে শূন্য।
আবহাওয়ার পূর্ভাবাস বলছিল বৃষ্টিতে ডুবতে পারে মিরপুর। যদিও সকালে রোদে চিক চিক করছিল হোম অবক্রিকেট গ্রাউন্ড। দুপুরের আগে আগে শুরু হয় মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা। এই প্রখর রোদ তো এই কালো মেঘে ঢাকা। কখনো কখনো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে যেন জমজমিয়ে নামার আভাসই দিচ্ছিল বারবার। বাড়তি সাবধানতায় ঢেকে রাখা হয় উইকেট।
শঙ্কা দূরে ঠেলে নির্ধারিত সময়েই মাঠে গড়ায় টস। খেলাও শুরু হয়েছিল ঠিক সময়েই। কিন্তু ৩ দশমিক ৪ ওভার খেলা হতে না হতেই মিরপুরে নামে বৃষ্টি। প্রায় ২ ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকে খেলা।
ফের খেলা যখন শুরু হলো ৫০ ওভারের ম্যাচ নেমে আসে ৪২ ওভারে। শেষবার বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৩৩.৪ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তুলতে পেরেছে কিউইরা। এরপর বেশ কয়েকবার ম্যাচ রেফারি নতুন খেলা শুরুর সময় জানালেও বৃষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। তাতে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় ম্যাচ।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় মাঠে খেলা দেখতে আসা এক সমর্থকের। তিনি জানান, স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম। গায়ের জামা না শুকাতে মাঠেই আবার ভিজলাম। এ সমর্থকের আক্ষেপ, দিনশেষে খেলাটা হলে এ ভেজা স্বার্থক হতো।
তিনি প্রশ্ন রাখলেন, মাহমুদউল্লাহর জন্য বিশ্বকাপের আগে নিজেকে প্রমাণ করার শেষ সুযোগ এটা। বৃষ্টিতে যদি কোনো ম্যাচ না হয় তাহলে কি হবে? আপাতত এ উত্তর জানা নেই কারোরই।
কিছু না পাওয়ার ম্যাচে একমাত্র প্রাপ্তি বলতে মুস্তাফিজ আর নাসুমের দারুণ বোলিং প্রদর্শনী। ৭ ওভার বল করে এক মেইডেনে ২৭ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেছেন মুস্তাফিজ। অন্যদিকে ৮ ওভার বল করে ৩ মেইডেনে ২১ রান দিয়ে দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন নাসুম আহমেদ। তবে আদর্শ পিচ (মন্থর) না বানানো নিয়েও আছে বিতর্ক। মিরপুরের পিচ নিয়ে এমনিতেই কম সমালোচনা নেই। তার ওপর বিশ্বকাপের আগে নিজেদের শেষবারের মতো ঝালিয়ে নেওয়ার মঞ্চে এমন মরা পিচ কেন বানানো হলো এমন প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ।
নিয়মিত ক্রিকেটাররা বিশ্রামে থাকায় এ সিরিজে অপেক্ষাকৃত তরুণ আর দল থেকে বাদ পড়াদের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বিসিবির তরফেও আভাস পাওয়া যাচ্ছিল সাকিব-শান্ত-মুশফিকদের ছাড়া এ সিরিজে কেউ ভালো করতে পারলে মিলতে পারে বিচ্বকাপের টিকিট। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছিলেন তামিম-মাহমুদউল্লাহ ও সৌম্য সরকাররা। যদিও প্রথম ওয়ানডেতে তাদের ব্যাটিংটাই দেখা হয়নি।
এফআই/এইচজেএস