প্রোটিয়াবধের ম্যাচে কী লেখা ছিল ডাচ ক্রিকেটারদের চিরকুটে?

তিনদিনের ব্যবধানে চলমান বিশ্বকাপে দুটি বড় অঘটন দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা হেরেছে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে। তবে ম্যাচ চলাকালে ডাচ ক্রিকেটারদের হাতে থাকা সাদা কাগজে চোখ বোলাতে দেখা গিয়েছিল। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা চলছে। বিষয়টি নজরে এনেছেন সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান। তার সঙ্গে ক্রিকেটভক্তদেরও জানার আগ্রহ— কী লেখা ছিল সেই ‘চিরকুটে’?
গতকাল মূলত ডাচদের অলরাউন্ড নৈপুণ্যের কাছেই হারতে হয়েছে প্রোটিয়াদের। আগে ব্যাট করা ‘কমলা শিবির’ ৪৩ ওভারে ২৪৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল, সেই রানতাড়ায় টেম্বা বাভুমার দল মাত্র ২০৭ রানেই গুটিয়ে যায়। এমন ঐতিহাসিক জয়ের জন্য কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকেও অভিনন্দন পাচ্ছেন ডাচ ক্রিকেটাররা। সেই তালিকায় আছেন শচীন টেন্ডুলকার ও ইরফান পাঠানরা। তবে পাঠানের টুইটের শেষ বাক্যে রহস্যের আভাস মিলেছে!
আরও পড়ুন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ সাবেক ভারতীয় এই ক্রিকেটার লিখেন, ‘ঐতিহাসিক জয়ের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন নেদারল্যান্ডস। পুরো ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলেছ, বিশেষ করে বোলিংয়ে। ওই চিঠিতে কী ছিল?’
— Irfan Pathan (@IrfanPathan) October 17, 2023
এর আগে বেশকিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কোচ ক্রিস সিলভারউডকে বিশেষ কোডের মাধ্যমে মাঠে বার্তা পাঠাতে দেখা গিয়েছিল। খেলায় যার বাস্তবায়ন করতেন তার শিষ্যরা। সেই একই পথ ধরে নেদারল্যান্ডস ক্রিকেটারদের জন্য পুরো একটা নোট খাতা বা চিঠি পাঠিয়েছিল কিনা সেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তবে তাতে যাই লেখা থাকুক— সফল হয়েছে স্কট এডওয়ার্ডসের দল।
অবিস্মরণীয় সেই ম্যাচের পর এডওয়ার্ডস বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, গত কয়েকটা ম্যাচে আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছিল, ইনিংস শেষ হওয়ার আগেই উইকেট হারিয়ে ফেলছিলাম। তাই আমি শুধু ঘুরে দাঁড়ানোর কথা ভেবেছিলাম এবং অন্য প্রান্ত থেকে আমাকে সুন্দরভাবে সমর্থন করা হয়েছিল। আমরা এই টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে খেলার আশা নিয়ে এসেছি। তবে এটি করতে হলে, আমাদের শীর্ষ দলগুলোকে হারাতে হবে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্যই এই টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট।’
— Sachin Tendulkar (@sachin_rt) October 17, 2023
ডাচ দলটিকে অভিনন্দন জানিয়ে শচীন টেন্ডুলকার লিখেছেন, ‘বিশ্বকাপ বেশকিছু দারুণ ফলাফল এনে দিয়েছে। যার একটিতে অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস সামনে থেকে নেদারল্যান্ডসের জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে, ১৪০ রানে ৭ উইকেট পতনের পরও এমন লড়াই দেখা বেশ সুখকর। মাঠে তাদের যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দিয়েছে, তা হলো— দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের ধারাবাহিক চাপে রাখা এবং তাদের সিঙ্গেল রান নিতে না দেওয়া। এই জয়ে রাতটি তাদের জন্য স্মরণীয় হয়ে উঠেছে!’
এএইচএস