ক্যাচ মিসের সুযোগ নিয়ে কিউইদের বড় স্কোর

বলা হয় ক্যাচ মিস নাকি ম্যাচ মিসের অংশ। চেন্নাইতে দিন শেষে ফলাফল কী হবে তা এখনই নিশ্চিত না। তবে ম্যাচের ফলাফল নিজেদের অনুকূলে না এলে নিশ্চিতভাবেই আক্ষেপে পুড়বে আফগানরা। পুরো ম্যাচে তিন ক্যাচ ছেড়েছে আফগান ফিল্ডাররা। এরমাঝে টম ল্যাথাম আর গ্লেন ফিলিপসের ক্যাচও ছিল। জীবন পেয়ে আর সুযোগ হারাননি কিউই এই দুই ব্যাটার। তাদের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে আফগানদের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড করেছে ২৮৮ রান।
বুধবার চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। বোলিং পিচের সুবিধা নিয়ে কিউইদের আটকে ফেলাই ছিল তাদের লক্ষ্য। তবে সেই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেনি আফগানরা। দারুণ বল করলেও বাজে ফিল্ডিংয়ের খেসারত দিতে হয়েছে তাদের। দ্বিতীয় ইনিংসে আফগানিস্তান ব্যাট করবে ২৮৯ রানের লক্ষ্য নিয়ে। চেন্নাইয়ের পিচে যা বেশ বড় এক সংগ্রহ।
শুরুটা নিউজিল্যান্ড করেছিল ধীরলয়ে। ষষ্ঠ ওভারে ফর্মের তুঙ্গে থাকা ডেভন কনওয়েকে সাজঘরে ফেরত পাঠান মুজিব উর রহমান। কিউইদের রান উঠছিল তখন ওভারপ্রতি ৫ করে। এরপর অবশ্য লম্বা সময় ক্রিজে রাজত্ব করেছিলেন উইল ইয়াং এবং রাচিন রবীন্দ্র। দুজন মিলে যোগ করেছেন ৭৯ রান। এই জুটি আরও আগেই ভাঙ্গতে পারতো, যদি রাচিনের ক্যাচটা ঠিকভাবে লুফে নিতে পারতেন হাশমতউল্লাহ শহিদি।
এরপর আচমকাই ম্যাচের দৃশ্যপট নিজেদের করে নেন আফগান বোলাররা। আজমতউল্লাহ ওমরজাই এর জোড়া আঘাতে ফিরে যান দুই সেট ব্যাটার। আর ড্যারেল মিচেলকে ফেরান রশিদ খান। ১ রান তুলতেই নিউজিল্যান্ডরা হারায় তিন উইকেট। ১০৯ রানে ১ উইকেট থেকে ১১০ রানেই হয়ে যায় ৩ উইকেট।
এখান থেকেই প্রতিরোধের শুরু করেন টম ল্যাথাম এবং গ্লেন ফিলিপস। সাবধানী ইনিংসে দলের ইনিংস মেরামতে মনোযোগ দেন দুজনেই। অবশ্য তাতে আফগান ফিল্ডারদের কৃতিত্বও আছে। মুজিব-উর রহমান এবং হাশমতউল্লাহ শহিদি দুজনেই ক্যাচ ছেড়েছেন।
শেষদিকে ব্যাটে ঝড় তুলতে চেয়েও পারেননি ল্যাথাম এবং ফিলিপস। নাভিন উল হকের ওভারে মারতে গিয়ে দুজনেই আউট হয়েছেন। তবে তাতে রানতোলায় ভাটা পড়েনি। মার্ক চ্যাপম্যানের ক্যামিওতে ভর করে ঠিকই বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। আফগানিস্তানের পক্ষে দুইটি করে উইকেট নেন ওমরজাই এবং নাভিন।
জেএ