ফিরছে অ্যাথলেটিক্স, অপেক্ষায় ফুটবল
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। ২০২১ সালের জুলাই থেকে স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলমান। এখনও গ্যালারি, ফ্লাডলাইট ও প্রেসবক্স আধুনিকায়নের কাজ বাকি। অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় আগামী ২৬-২৮ অক্টোবর ১৭তম জাতীয় গ্রীষ্মকালীন অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু আসন্ন জাতীয় প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা জাতীয় অ্যাথলেটিক্স আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। প্রায় আড়াই বছর পর আমরা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিরতে যাচ্ছি, যা আমাদের জন্য দারুণ বিষয়। আশা করি অ্যাথলেটরা নতুন টার্ফে ভালো পারফরম্যান্স প্রদর্শন করতে পারবে।’
জাতীয় অ্যাথলেটিক্সের প্রায় সকল ইভেন্ট বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আয়োজনের ব্যবস্থা থাকলেও হ্যামার থ্রো আর্মি স্টেডিয়ামে পরিচালনা করবে ফেডারেশন।
অ্যাথলেটিক্স টার্ফের মেয়াদ সাধারণত ১০-১২ বছর। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিক্স টার্ফটি ২০১৩-১৪ সালের দিকেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ টার্ফে ২০২০ সাল পর্যন্ত খেলা চালিয়েছে ফেডারেশন। ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ফেডারেশন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পরিবর্তে আর্মি স্টেডিয়াম ব্যবহার করে আসছে। গত আড়াই বছরে জাতীয়, গ্রীষ্মকালীন ও জুনিয়র মিলিয়ে সাতটি প্রতিযোগিতা আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজন করেছে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। ১৭তম গ্রীষ্মকালীন প্রতিযোগিতায় নিজস্ব ঘরে ফিরছে অ্যাথলেটিক্স।
বাংলাদেশের সকল স্টেডিয়ামের মালিকানা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের। সংস্থাটি এখনও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন টার্ফ বুঝিয়ে দেয়নি। এতে সমস্যা দেখছেন না জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ বলেন, ‘টার্ফ প্রস্তুত রয়েছে এবং ফেডারেশনও আয়োজনে আগ্রহী। তাই আমরা তাদের আয়োজনের জন্য সম্মতি প্রদান করেছি। জাতীয় প্রতিযোগিতার আগেই আমরা ফেডারেশনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করব।’
অ্যাথলেটিক্সের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ব্যবহার করা হয় ফুটবলেও। এটি বাংলাদেশ ফুটবলের প্রধান ভেন্যু। তবে সংস্কার কাজের জন্য ঘরোয়া লিগ ও জাতীয় ফুটবল দলের ম্যাচ অন্যত্র আয়োজন করছে ফেডারেশন। অ্যাথলেটিক্স টার্ফের সঙ্গে মাঠ ও ড্রেসিংরুমও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বুঝিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিমল সিংহ, ‘ফুটবল ফেডারেশন মাঠ ব্যবহার করতে চায়। আমরা একটি শর্তমালার মাধ্যমে ফুটবল ফেডারেশনকে মাঠ এবং ড্রেসিংরুম বুঝিয়ে দিতে চাই শীঘ্রই।’
মাঠ ও ড্রেসিংরুম বুঝিয়ে দিলেও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে লিগের ম্যাচ পরিচালনার উপযোগী হবে না। ম্যাচ কাভারের জন্য সাংবাদিকদের প্রেস বক্স ও দর্শক গ্যালারি এখনও সংস্কারাধীন। এরপরও জাতীয় দলের অনুশীলন, ক্লোজড ডোর ম্যাচের জন্য ফেডারেশন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ বুঝে নিতে মরিয়া।
সত্তর-আশির দশকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ক্রিকেট-ফুটবল একসঙ্গে চলেছে। নব্বইয়ের দশকে ফুটবল মিরপুর আর ক্রিকেট ছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। ২০০৫ সাল থেকে ক্রিকেট মিরপুরে আর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফুটবল ফিরে।
এজেড/এএইচএস