শুরুর ধাক্কা সামলে ডাচদের লড়াকু সংগ্রহ

খর্বশক্তির নেদারল্যান্ডস বনাম তলানিতে থাকা শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপের ১৯তম ম্যাচটি নিয়ে খুব একটা আগ্রহ ছিল না কারোরই। লখনৌর ইকানা স্টেডিয়ামের খালি গ্যালারিই যেন জানান দিল, দর্শক আগ্রহ ঠিক কতটা নিচে। তবে সেই ফাঁকা মাঠেই ডাচরা লিখল প্রত্যাবর্তনের এক গল্প। দেড়শ পার হওয়া নিয়েই যখন ছিল শঙ্কা, তখন মাটি কামড়ে ক্রিজে রয়ে গেলেন সাইব্র্যান্ড এঞ্জেলব্রাখট এবং লোগান ভ্যান বিক।
চাপের মুখে ডাচদের লোয়ার মিডল অর্ডারের দুজনে উপহার দিয়েছেন ১৩০ রানের দুর্দান্ত এক পার্টনারশিপ। দুজনের জোড়া অর্ধশত রান নেদারল্যান্ডসের ইনিংসকে টেনে নিয়ে গিয়েছে ২৫০ পর্যন্ত। এঞ্জেলব্রাখট ৭০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন। আর ভ্যান বিক খেলেছেন ৫৯ রানের ইনিংস। লঙ্কানদের সামনে টার্গেট ২৬৩ রানের।
অথচ দিনের শুরুটা ছিল পুরোপুরি শ্রীলঙ্কার বোলারদের। আগের তিন ম্যাচে কোন জয় নেই। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেই প্রথম পয়েন্ট পেতে মরিয়া লঙ্কানরা। আগে টস জিতে ব্যাট করতে চাওয়া ডাচরা এই মরিয়া লঙ্কানদের সামনেই খাবি খেল ইনিংসের অর্ধেকটা জুড়ে। চতুর্থ ওভারে বিক্রমজিৎ সিং এবং এরপর দশম ওভারে ম্যাক্স ও’ ডাউড। দুজনেই ফিরেছেন কাসুন রাজিথার বলে। একজন এলবিডব্লিউ হয়েছেন, অন্যজন সরাসরি বোল্ড।
৫৪ রান কলিন অ্যাকারম্যান আর ৬৮ রানে বাস ডি লিট ফিরে গেলে ব্যাপক চাপে পড়ে নেদারল্যান্ডস। পরবর্তীতে ডাচদের দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটারই হতাশ করেছেন। ইনিংস বড় করতে পারেনি তেজা নিদামানুরু আর অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। ফলে ৯১ রানেই তারা হারায় ৬ষ্ঠ উইকেট।
সাইব্র্যান্ড এবং ভ্যান বিকের প্রতিরোধ শুরু সেখান থেকেই। শুরুতে ধীরগতির ব্যাট করেছেন। এরপর সময় বুঝে চড়াও হয়েছেন লঙ্কান বোলারদের ওপর। দুজনের সময়োপযোগী ব্যাটিং ডাচদের স্কোরবোর্ডে যোগ করেছে ১৩০ রান। যদিও পরে স্কুপ করতে গিয়ে দিলশান মাদুশাঙ্কার বলে বোল্ড হন সাইব্র্যান্ড। ক্রিজ ছাড়ার আগে তার নামের পাশে ছিল ৭০ রান।
এরপর লোগান ভ্যান বিক অনেকটা একাই টেনেছেন। করেছেন অর্ধশতকও। রাজিথার বলে ফেরার আগে করেছেন ৫৯ রান। শেষদিকে ভ্যান ডার মারওয়ে ও পল ভ্যান মিকেরেনরা ইনিংস বড় করতে না পারলেও, ঠিকই ২৬২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ফেলে ডাচরা। লঙ্গানদের পক্ষে সফল বোলার ছিলেন রাজিথা এবং মাদুশাঙ্কা। দুই পেসারই পেয়েছেন ৪টি করে উইকেট।
জেএ