স্বল্পবসনা হওয়ায় কটাক্ষের শিকার নাকি অন্যকিছু?

ভারতীয় বোর্ড সভাপতি রজার বিনির পুত্রবধূ ও ক্রিকেটার স্টুয়ার্ট বিনির স্ত্রী মায়ান্তি ল্যাঙ্গার। সবকিছুকে ছাপিয়ে তার আরেকটি পরিচয় হলো, তিনি ক্রিকেটের অন্যতম নামকরা সঞ্চালক। পুরো বিশ্বকাপেই দারুণ সঞ্চালনা করেছেন তিনি। প্রশংসা যেমন হয়েছে তেমনি কটাক্ষেরও শিকার হয়েছেন সঞ্চালনাকালে স্বল্পবসনে থাকায়।
তবে তার সমালোচিত হওয়ার কারণ কিন্তু ভিন্ন। আরও অনেক নারী সঞ্চালককেই স্বল্পবসনে মাঠে দেখা যায়। তাদের এ সমস্যায় পড়তে না দেখলেও তাকে দেখা গেছে।
ঘটনা মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সেমিফাইনালের খেলার। নীল রঙের একটি ব্লেজার পরে মায়ান্তিকে দেখা যায় ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কারের সঙ্গে। এসময় গাভাস্কারের পরনে ছিল সাদা রঙের একটি জামা ও নীল রঙের প্যান্ট। অন্যদিকে মায়ান্তির পরনে নীল রঙের ব্লেজার।
গাভাস্কারের প্যান্ট ও মায়ান্তির ব্লেজারের রং এক হয়ে যাওয়ায় অনেকেই মজা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন করে লিখেন, গাভাস্কার কি মায়ান্তির প্যান্ট পরেছেন? নাকি মায়ান্তি গাভাস্কারের ব্লেজার পড়েছেন? কেউ আবার বলছিলেন, মায়ান্তির নিজের পোশাকের দিকে নজর দেওয়া উচিত। নাকি গাভাস্কার কিংবা মায়ান্তি দু'জন ভাগাভাগি করেছেন নিজেদের জামাকাপড়?
আরও পড়ুন
তবে এসব ট্রল মায়ান্তির চোখ এড়ায়নি। ফাইনালের আগে এ প্রশ্নের জবাবও দেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘‘আমার আর্থিক ক্ষমতা নিয়ে চিন্তা করায় ধন্যবাদ। আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের ট্যাগ করে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে আমার কি প্যান্ট কেনার ক্ষমতা নেই? চিন্তা করবেন না, ফাইনালে পুরো স্যুট-প্যান্ট কেনার ক্ষমতা আমার আছে।’’
তার পরেই ফাইনালে দেখা যায়, পুরো শরীর ঢাকা পোশাক পরেছেন মায়ান্তি। কালো রঙের একটি ফুলহাতা ব্লেজার ও কালো স্যুট পরে আসতে দেখা যায় মায়ান্তিকে। সেভাবেই সবার সঙ্গে খেলা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। নিজের দেওয়া কথা রেখে সমালোচকদের যেন একহাত নিলেন তিনি।
কিন্তু এতেও কি মায়ান্তির দিকে নিশানা করা বন্ধ হবে? কেন বারবার তার দিকেই নিশানা করা হবে? এর কারণ কি নারী সঞ্চালক হওয়ায়? নাকি বোর্ড সভাপতির পুত্রবধূ ও ক্রিকেটারের স্ত্রী হওয়ার কারণে?
পিএইচ