সিলেটের উইকেট নিয়ে যা বলছেন বিশ্বকাপ কাঁপানো রাচিন

বিশ্বকাপের পর বিশ্রাম মেলেনি নিউজিল্যান্ডের। ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে দারুণ লড়াই করেও বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের। এরপরেই তাদের ফিরতে হয়েছে মাঠের খেলায়। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে আবার মাঠে নামছে কিউইরা। এরইমাঝে তারা পৌঁছে গিয়েছে প্রথম টেস্টের ভেন্যু সিলেটে।
সিলেটে এসে কিছুটা অবাকই হতে হয়েছে তাদের। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সবুজ পিচ সাজানো সিরিজের প্রথম টেস্টের জন্য। মানে এবারের পিচে ঘাস খানিকটা বেশি। কিউই দলের প্রায় প্রত্যেকেই এমন পিচ দেখে বেশ সন্তুষ্ট। সিলেটে স্পিনবান্ধব উইকেট তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশের শক্তিমত্তা মাথায় রেখেই। তবে নিউজিল্যান্ডও পিচ নিয়ে যে সন্তুষ্ট, তা বোঝা গেল দলের অন্যতম তারকা রাচিন রবীন্দ্রের কথায়। বিশ্বকাপে দারুণ আলো ছড়ানো এই ক্রিকেটার বাংলাদেশেও ভাল করতে প্রস্তুত।

নিজেদের স্পিন আক্রমণ নিয়ে আজ সিলেটে রাচিন বলেন, 'আমাদের শক্তিশালী স্পিন আক্রমণ আছে, জেজি (ইজাজ প্যাটেল), স্যান্টনার, ইশ (সোধি) ও জিপি (গ্লেন ফিলিপ্স) আছে। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে তাদের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করব এবং সোধি ও জেজির এখানে খেলার অভিজ্ঞতা আছে অনেক এবং তারা জানে এখানে কি করলে ভালো হবে। কিন্তু আমি আমার মতো করে চেষ্টা করব। প্রত্যেকেই ভিন্নরকমের বোলার। এটা স্পিন আক্রমণের ভারসাম্য বাড়িয়েছে।'
সিলেটের উইকেট নিয়ে আজ দিনভর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কিউই ক্রিকেটাররা। সেই দলে আছেন রাচিন নিজেও, '২০২১ সালে এখানের উইকেট আকর্ষনীয় ছিল। আমার মনে হয় এখানে ব্যাট করা কিছুটা কঠিন হবে। কিন্তু বল করা দারুণ ব্যাপার হবে। স্পিনাররা আরেকটু বেশি পেস পাবে। স্পিনাররাই বেশি সুবিধা পাবে তাই জায়গা মতো বল করতে হবে এবং এর সঙ্গে গতি কাজে লাগাতে পারলে সাফল্য পাওয়া যাবে।'
নিউজিল্যান্ড দলের স্পিন বোলিং কোচ সাকলাইন মুস্তাক। কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের অধীনে ভালো করার প্রত্যাশা রাচিনের, 'সাকলাইন অনেক বড় মাপের কোচ। আমি তার সঙ্গে অল্প কিছু সময় কাটিয়েছি। গত এপ্রিল-মেতে পাকিস্তান সিরিজের আগে তার সঙ্গে কাজ করেছি এবং সে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। শুধু আমি নয় গ্রুপের সব স্পিনারই তার কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছে। তার সঙ্গে আবারও কাজ করতে পারে দারুণ আনন্দিত আমি। তার সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, বোলিং নিয়েও, জীবন নিয়েও।'
এসএইচ/জেএ