শারীরিক শিক্ষার ‘গুরুর’ চিরবিদায়

খেলাধুলা এখন অনেক বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্ভর। এরপরও মূলত খেলাধুলা শরীর চর্চারই অংশ। সেই শারীরিক শিক্ষায় কিংবদন্তি এবং বাংলাদেশের ফিজিক্যাল এডুকেশনের পথিকৃৎ খাইরুল ইসলাম খান চিরবিদায় নিলেন বৃহস্পতিবার। গতকাল বিকেলে ৮০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। আজ সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানায়৷
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনেক অবদান। সেই অবদানের নেপথ্যে ছিলেন খাইরুল ইসলাম খান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে অনেক তরুণ ক্রীড়াবিদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার আলোয় এনেছিলেন। প্রয়াত ক্রিকেট কোচ জালাল আহমেদ চৌধুরী খাইরুল ইসলাম খান সম্পর্কে বলেছিলেন, 'শিক্ষা ও খেলার সঙ্গে খাইরুল ভাই দারুণ সংমিশ্রণ ঘটাতে পারতেন।'
বাংলাদেশের ফুটবলে অন্যতম শীর্ষ ফুটবল কোচ মারুফুল হক। তিনি কোচ হলেও শারীরিক শিক্ষার ব্যাকগ্রাউন্ডের। বুয়েটের উপ-পরিচালক পদে থাকা মারুফ খায়রুল সম্পর্কে বলেন, 'শারীরিক শিক্ষা সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান অসাধারণ পর্যায়ের। শারীরিক শিক্ষা তিনি লালন করতেন আর আমরা পালম করি।' বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচালক সিরাজউদ্দীন মোঃ আলমগীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগে কর্মরত। তিনিও ব্যথিত খাইরুল ইসলাম খানের প্রয়াণে।

বাংলাদেশের ফিজিক্যাল এডুকেশনের অন্যতম কিংবদন্তি প্রফেসর খায়রুল ইসলাম খান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শারীরিক শিক্ষা বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। অবসরের পরও তিনি ফিজিক্যাল এডুকেশনকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। তার মাধ্যমেই বাংলাদেশের প্রথম এমপিএড ডিগ্রী চালু হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন ফ্যাকাল্টির ডিনের দায়িত্বে ছিলেন। এ এছাড়াও তিনি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমস ও স্পেশাল অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন।
খায়রুল ইসলাম খানের প্রয়াণে ক্রীড়াঙ্গন ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমেছে। অনেক খ্যাতনামা ক্রীড়াবিদ, সংগঠক তাঁকে শ্রদ্ধান্জলি জ্ঞাপন করছে।
এজেড/জেএ