অ্যাথলেটিক্সে কোটি টাকার ফটোফিনিশিং

খেলাধূলা এখন প্রযুক্তি নির্ভর। টাইমিং নির্ভর খেলায় এক সেকেন্ডের ভগ্নাংশের সময়ে নির্ধারিত হয় পদক। মাদার অব স্পোর্টস ডিসিপ্লিন হিসেবে খ্যাত অ্যাথলেটিক্স এই যুগেও ছিল না ফটোফিনিশিং। আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অ্যাথলেটিক্সকে নতুন ফটোফিনিশিং হস্তান্তর করেছে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সংস্কার খাতে অ্যাথলেটিক্সেও আলাদা বরাদ্দ রয়েছে। অ্যাথলেটিক্সে নতুন টার্ফের পাশাপাশি ফটোফিনিশিং মেশিনসহ আনুষাঙ্গিক আরো কিছু চাহিদা ছিল ফেডারেশনের। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আজ বিকেলে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনকে ফটোফিনিশিং মেশিন ও ইলেকট্রনিক গান বুঝিয়ে দিয়েছে। ফটোফিনিশিংটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আমদানি করেছে বেলজিয়াম থেকে। এই মেশিনের মূল্য কোটি টাকার উপর। স্প্রিন্টে অনেক সময় কয়েকজন অ্যাথলেট প্রায় এক সঙ্গে ফিনিশিং লাইন টাচ করেন। সাদা চোখে সঠিক ফলাফল প্রদান করা সম্ভব নয়। ফটোফিনিশিং মেশিনের মাধ্যমে এটি থাকবে বিতর্কমুক্ত।
আধুনিক ফটোফিনিশিং পরিচালনার মতো দক্ষ লোকও প্রয়োজন। অ্যাথলেটিক্সে এমন লোক কম। অপারেটর সংকট সম্পর্কে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু বলেন, 'এখন বিদেশি অপারেটর রয়েছে। তার কাছ থেকে আমাদের লোকজন শেখার চেষ্টা করবে। তবে এজন্য একজন বিশেষজ্ঞ লোক নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন।’ অপারেটর সংকটের মতো গুরুত্বপূর্ণ এই জিনিস রাখা আরেক সংকট ফেডারেশনের, 'আমাদের কক্ষ এমনিতেই কম। দামী এবং গুরুত্বপূর্ণ এই সরঞ্জাম আলাদা বিশেষ রুমে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এজন্য আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে রুম চেয়েছি।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শামসুল আলম অ্যাথলেটিক্সে সরঞ্জাম সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনকে ফটোফিনিশিং বুঝিয়ে দিয়েছি। বিদেশি বিশেষজ্ঞ অনলাইনে ফেডারেশনকে সহায়তা করবে। তিনি এখন থাকতেই ফেডারেশনের কয়েকজন এটি পরিচালনা পদ্ধতি শেখার কথা বলা হয়েছে।'
এজেড/এইচজেএস