হতাশ সাবিনা, শঙ্কিতও!

জাতীয় দলের নারী ফুটবলাররা ছুটিতে। অনেকে নিজ বাড়িতে, আবার কেউ বেড়াচ্ছেন। এই ফুরফুরেই আমেজের মধ্যেই শুনেছেন দুঃসংবাদ। বসুন্ধরা কিংস নারী ফুটবল লিগে অংশগ্রহণ করছে না। এই খবরে যারপরনাই হতাশ জাতীয় দল ও বসুন্ধরা কিংসের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। একইসঙ্গে কিছুটা শঙ্কার কথাও শোনা গেল দেশসেরা স্ট্রাইকারের মুখে।
নিজ জেলা সাতক্ষীরা থেকেই বসুন্ধরা কিংসের না খেলার খবরটি পেয়েছেন সাবিনা, ‘ক্লাব বা ফেডারেশন থেকে বিষয়টি জানা হয় নাই। মিডিয়াতেই খবরটি দেখলাম। জেনে খুব খারাপ লাগল। নারী ফুটবলারদের জন্য এটা বেশ হতাশার।’
বসুন্ধরা কিংস নারী ফুটবল লিগে অংশগ্রহণ না করার কারণটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি। তবে সাবিনা একটি কারণ অনুমান করছেন, ‘শুনলাম অনেকে নাকি ১৫-২০ লাখ টাকা চেয়েছে।’

জাতীয় দলের মতো বসুন্ধরা কিংসেরও অধিনায়ক সাবিনা। ক্লাবের কাছে ফুটবলারদের এমন দাবির বিষয়টি শোনা গেলেও তিনি বিষয়টি অবগত নন বলে জানান, ‘ক্লাবের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি যার যার। এখানে আমাকে জানায় না আবার আমিও জানতে চাই না। আমি অবশ্য বাস্তবতায় বিশ্বাসী। আমাদের নারী লিগের যে মান তাতে এত অর্থ দাবি বাস্তবসম্মত নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটি সমর্থন করি না।’
সিনিয়র নারী ফুটবলারদের উপর অনেক পরিবার নির্ভরশীল। বাফুফের বেতনের বাইরে বছরে একটি লিগই মূলত বড় অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্র নারীদের জন্য। কিংস শেষ পর্যন্ত না আসলে বড় আর্থিক ঝুকির শঙ্কা দেখছেন সাবিনা, ‘কিংস আসার পরই মূলত আমরা আর্থিকভাবে একটু বেশি উপকৃত হয়েছি। শেষ পর্যন্ত যদি তারা নাই আসে তাহলে মেয়েরা তেমন অর্থ পাবে না।’ শঙ্কা রয়েছে লিগ সঠিক সময়ে না হওয়ারও।
ঘরোয়া ফুটবলে নতুন নিয়ম করেছে নারী ফুটবল লিগেও লাইসেন্সিং। নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে লাইসেন্সিং সম্পন্ন করেনি কিংস। এই না করার পেছনে একটা চাপা ক্ষোভ এবং অভিমান কাজ করছে সেটা ফুটবলসংশ্লিষ্ট সবার অনুমেয়। নারী ফুটবলার ও ফেডারেশন একত্রে কিংসের এই অভিমান ভাঙাতে পারবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
এজেড/জেএ